ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৬ আগস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। এই আয়োজনের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে মানুষ যন্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সে নিজেও যন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক। এ সমস্যা শুধু আমাদের দেশের নয়, পুরো বিশ্বের। ইউরোপের দেশগুলোর দিকে যদি তাকায়, তবে দেখব গত ১০০ বছরের তুলনায় সেখানে তাদের বস্তুগত উন্নয়ন অনেক হয়েছে কিন্তু মানবিকতার উন্নয়ন কতটা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, আমরা শুধু অবকাঠামো নয়, উন্নত জাতি গঠন করতে চাই। যাদের মধ্যে মমত্ববোধ থাকবে, দেশাত্মবোধ থাকবে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে সরাসরিভাবে যারা জড়িত, এখন পর্যন্ত শুধু তাদেরই বিচার হয়েছে। তবে এর ষড়যন্ত্রকারী বা বিদেশী মদদদাতারা বা পটভূমি রচনাকারীদের বিচার হয়নি। এমন অবস্থায় এখানেই বিচারকার্য থামলে ৫০ বছর পর আগামী প্রজন্ম শুধু এই খুনীদেরই চিনবে, বাকিদের নয়। তাই তাদেরও বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত। আর এ বিষয়েও গবেষণাধর্মী বই লেখা যেতে পারে, যা রাষ্ট্রের কাজে সহযোগিতা করবে। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই লেখা হচ্ছে। তবে মৌলিক বইয়ে সংখ্যা খুবই কম। তিন মাসে, ছয় মাসে বা এক বছরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা প্রবন্ধের বই বা তার জীবনী লেখা যায় না। সেদিক থেকে ভাল বই লিখতে হবে। আর আমাদের এখন বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি আন্তর্জাতিক জীবনী প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ বই পর্যালোচনা করা ২০ জনের মধ্য থেকে বই পর্যালোচনার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদ রহমান, পর্যালোচক নাহিদা আশরাফি, পীযূস কান্তি বড়ুয়া এবং স্বকৃত নোমান।
×