ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিগুণ মাত্রায় ছিটালেও শতভাগ মরছে না ;###;কার্যকারিতা হারিয়েছে পুরনো ওষুধ ;###;দ্রুত সমাধানের আশ্বাস মেয়রদের ;###;ঝুঁকিতে দুই সিটির নতুন ৩৬ ওয়ার্ড

কেউ দেখে কেউ দেখে না ॥ মশার ওষুধ

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ৬ আগস্ট ২০১৯

কেউ দেখে কেউ দেখে না ॥ মশার ওষুধ

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীর মিরপুর-কালশী এলাকা নিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ড। এই এলাকায় মশার ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর জানালেন, দেখিনা ওষুধ ছিটাতে। মশক কর্মীরা কখন আসে কখন যায় এলাকাবাসীর চোখে পড়ে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ওষুধ দেয়া হয় না বলেই মশার উপদ্রব পুরো বাড়ছে। এমন অভিযোগ এখানকার প্রায় সব অলি-গলির মানুষের। মশার ওষুধ না ছিটানোয় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন ইউসুফ আহমেদ নামে এলাকার এক ব্যক্তি। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগকারীর ব্লকে গত বুধবার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। তিনি বলেন, তার ওয়ার্ড অনেক বড়। এক এক করে সব এলাকাতেই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ তো গেল কালশী এলাকার কথা। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আহাম্মদবাগ, মায়াকানন, কদমতলা, পূর্ব রাজারবাগ, ওয়াসা রোড মিলিয়ে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন মাসে কেউ মশার ওষুধ ছিটাতে দেখেনি। ডেঙ্গু নিয়ে যখন ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তোড়জোড় ঠিক তখন গত শনিবার রাজারবাগ এলাকায় ১০ মিনিটের মশা মারার ফটো সেশন হয়েছে মাত্র। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মশা মারার অভিযান হয় সকালে। অনুষ্ঠানের ঠিক আধাঘণ্টা পর যে দুইজন সিটি কর্পোরেশনের কর্মী ওষুধ ছিটাতে গিয়েছিলেন তাদের পাওয়া যায় আহাম্মদবাগ বালুর মাঠ এলাকায় চায়ের দোকানে। নাম প্রকাশ করতে চাননি তাদের কেউ। তবে বলেছেন, ওষুধ নেই। তাই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাড়ি ফেরা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত ১০টি ওয়ার্ড ঘুরে মশার ওষুধ ছিটানো নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন মাঝে মাঝে ওষুধ ছিটানো দেখেন, অনেকেই বলছেন দেখেন না। কারও কারও বক্তব্য তিন মাসেও ওষুধের খোঁজ মেলে না। আবার কারও কারও বক্তব্য, সম্প্রতি ওষুধ ছিটালেও মশার উপদ্রব কমছে না। বরং বাড়ছে। এদিকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চলতি ওষুধে মশা মরছে না, এর কার্যকারিতো নেই। একই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ছিটানোর কারণে মশা দিন দিন ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠেছে। দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উত্তর-দক্ষিণ সিটি মিলিয়ে ৫১ কোটি টাকা মশা নিয়ন্ত্রণে খরচ হয়েছে। তবুও মশার ব্যাপকতা বেড়েছে অনেক। ঘরে ঘরে এডিস মশার শিকার মানুষ। তাহলে টাকা কোথায় গেল? দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক আগেই মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নেই বলা হলেও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে ঢাকার ডেঙ্গু এখন ছড়িয়েছে দেশের ৬৪ জেলায়। মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছে ৪০ জনের বেশি। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি প্রকোপ বেড়েছে জুলাই মাসে। আগস্টের শুরু থেকেই প্রতিদিন ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবছর ডেঙ্গু হতে পারে। তবে বর্ষা মৌসুমে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। এই সময়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পাশাপাশি বাসাবাড়ি পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ২০০০ সাল থেকে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গত ১৯ বছরে আমাদের উচিত ছিল এ রোগ নিরাময়ের দিকে যাওয়া। কিন্তু দেখছি এখন ডেঙ্গু মহামারী আকারে ছড়িয়েছে। যা সত্যিই উদ্বেগের খবর। বাসাবাড়িতে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সকলের করণীয় রয়েছে। আমরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে এ রোগ বেশি মাত্রায় ছাড়াতে পারবে না। তাছাড়া নগরপিতাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি থাকারও পরামর্শ দেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় মশার ওষুধ ছিটানোর তাগিদ দেন তিনি। তিন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কেমন আছেন ॥ রিয়াজবাগ, তালতলা ও আশপাশের এলাকা মিলিয়ে দক্ষিণের ৩ নম্বর ওয়ার্ড। তালতলা মার্কেটের পেছনের এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক দিন হয় এলাকায় ওষুধ ছিটানোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চেহারা দেখা যায় না। ১২ দিন দিন আগে ওষুধ ছিটানো হলেও মশা কমেনি। কামড়ের চোটে অস্থির এলাকার লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দা আপেল বলেন, একদিন অন্তত অন্তর ওষুধ দেয়া না হলে মশা নিয়ন্ত্রণ হবে না। তাছাড়া ওষুধ দেয়ার পরই মশার উপদ্রব মনে হয় আরও বাড়ে। তাহলে কি ওষুধে মশা মরছে না বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি। বলেন, সন্ধ্যার পর এলাকার প্রতিটি দোকানে মশা রোধে কয়েল, গুড নাইট, এরোসল কেনার ধুম পড়ে যায়। গোড়ান, মেরাদিয়া, নবীনবাগ, সিপাহীবাগসহ আশপাশের এলাকা মিলিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড। রিয়াজবাগ এলাকার বাসিন্দা আমিনুল জানালেন, কখন এলাকায় ওষুধ দেয়া হয় কেউ জানে না। আমি গত কয়েক মাসে দেখিনি। গোড়ানের বাসিন্দা ফজলু জানালেন, গত রবিবার এলাকায় ওষুধ ছিটাতে দেখা গেছে। কিন্তু মশা আছে আগের মতোই। রাতে অনেক দোকানে কয়েল পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এটাই প্রমাণ করে উপদ্রব কোন পর্যায়ে ঠেকেছে। হাজারীবাগ, মনেশ^র রোড, কালুনগর, গনকটুলি, হাজারীবাগ পার্ক, মনেশ^র লেনসহ আশপাশের এলাকা মিলিয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ড। গত তিনদিন আগে এই এলাকায় সর্বশেষ মশার ওষুধ ছিটানো হয়। কিন্তু মশা কমেনি। স্থানীয় বাসিন্দা কালাম জানান, এত আলোচনার পরও আমরা মশা মারার কার্যকর কোন ব্যবস্থা দেখছি না। মাসের পর মাস মশা মারার লোকদের দেখা যায় না। এখন মাঝে মাঝে দেখা গেলেও মশা আছে আগের মতোই। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরিফ জানালেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ না দিলে মশা মরে যাবে এমন আশা করে লাভ নেই। যে ওষুধে মশা আর মরছে না তা যদি লোক দেখানো ছিটানো হয় তবে সঙ্কট সমাধানের কোন সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মশা মারতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। লোকবল সঙ্কটের কারণে হয়ত সব সময় সব এলাকায় মশা মারতে দেখা যায় না। তিনি বলেন, সব বাড়িতে মশার লার্ভা ধ্বংস করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা যাবেন। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। দ্রুত এডিস মশা নিধনে উন্নত সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে প্রতিদিন ৬০টি বাড়িতে আমাদের কর্মীরা যাবেন। তাছাড়া মোটরবাইকে মশক নিধন যন্ত্র স্থাপনসহ স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা এরকম দুর্যোগ মোকাবেলায় সফল সেসব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমাদের কথা হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই নগরবাসী এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চলতি ওষুধ অকার্যকর ॥ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) মশক নিধনের ওষুধ পরীক্ষা করে বলেছে, এটি অকার্যকর। একই ওষুধ পরীক্ষা করে সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখাও (সিডিসি) বলেছে অকার্যকর। উত্তর সিটি কর্পোরেশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিমিট’র ওষুধ মাঠ পরীক্ষায় অকার্যকর বলে বাতিল করেছে। অথচ উত্তরের বাতিল করা ওষুধ দক্ষিণে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২২ মে মাসে এই গবেষণার ফলাফল স্বাস্থ্য অধিদফতর ও দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা। এরপর সিডিসি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে রাজধানীর সাতটি এলাকার কিউলেক্স মশা নিয়ে গবেষণা করে। ওই গবেষণাতেও ওষুধের অকার্যকারিতা ধরা পড়ে। এ ছাড়া এ বছরের মার্চ মাসে ঢাকা শহরে মশা জরিপ শেষে তার ফলাফল প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা। তখন তারা সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে বলেছিল, আগে থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মশা আরও বাড়বে। কিন্তু দায়িত্বশীলরা এই সতর্কবার্তা মোটেও আমলে নেননি। তারা নিজেদের মতো করেই কাজ চালিয়ে গেছেন। মানসম্মত ওষুধ না দেয়া, ধারাবাহিক অবহেলা ও গাফিলতির কারণে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সব পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে চলমান মশার ওষুধ কার্যকারিতা হারিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কেন বিকল্প চিন্তা করেনি। আইসিডিডিআরবির গবেষক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, এডিস এজিপ্টি ও কিউলেক্স মশা বড় করার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখেন তারা। ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুযায়ী, নির্ধারিত মাত্রার ওষুধ দেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর মশার মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশের কম হলে সেটি ওষুধ প্রতিরোধী হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি, বেশিরভাগ জায়গার মশা মরার হার শূন্য শতাংশ। আবার দ্বিগুণ মাত্রায় ওষুধ দিলেও শতভাগ মশা মরছে না। মশার ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যালেরিয়া এ্যান্ড এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজেজ’র উপ কর্মসূচী ব্যবস্থাপক ডাঃ এম এম আক্তারুজ্জামানও। তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, কিউলেক্স মশা নিয়ে তারাও একটি গবেষণা করে দেখেছেন, মশার ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠেছে। বলেন, আমরা কিছু জটিলতা দেখেছি। মশা মারতে তিন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে। এরমধ্যে একটিতে মশার রেজিস্টেন্স তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আমরা সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছি। পূর্ণ বয়স্ক মশা মারতে না পারলেও ওষুধে মশার শুককীট বা লার্ভা দমন হচ্ছে বলে জানান ডাঃ আক্তারুজ্জামান। ৫১ কোটি টাকা জলে গেল ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই সিটিতে মশা মারতে বরাদ্দ রাখা হয় ২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মশার ওষুধ কেনা বাবদ বরাদ্দ ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কচুরিপানা ও আগাছা পরিষ্কারের জন্য বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। আর ফগার, হুইল, স্প্রে-মেশিন পরিবহন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয় ২ কোটি টাকা। তা ছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ খরচ হয় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সব মিলে গত অর্থবছরে দক্ষিণ সিটিতে মশা মারতে ব্যয় করা হয় ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উত্তর সিটিতে মশা মারতে ব্যয় হয় ২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে মশক ওষুধ কেনা বাবদ ব্যয় ১৮ কোটি টাকা। কচুরিপানা ও আগাছা পরিষ্কার বাবদ ব্যয় ১ কোটি টাকা। তা ছাড়া এই সিটিতে ফগার, হুইল ও স্প্রে-মেশিন পরিবহন বাবদ ব্যয় হয় ২ কোটি টাকা। আর মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ ব্যয় হয় ২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ঢাকা উত্তর সিটিতে মশা মারতে ব্যয় করা হয় ২৩ কোটি টাকা। দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ৫১ কোটি টাকা খরচ হলেও এর সুফল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৩৬ ওয়ার্ডের জন্য কোন বরাদ্দ নেই ॥ দুই সিটি কর্পোরেশনে ১৮টি করে নতুন ৩৬টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। বাজেটে এসব ওয়ার্ডে মশা নিধনের জন্য কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। নেই যন্ত্রপাতি ও জনবল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণের ১১টি ওয়ার্ডে এখন কোন ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়েনি। তাছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোতে বাজেট পাস করে কাজ করার চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
×