ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১২ আসামির জবানবন্দী ও জেরা শেষ

প্রকাশিত: ১০:১১, ৫ আগস্ট ২০১৯

 ১২  আসামির  জবানবন্দী ও  জেরা  শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ৪ আগস্ট ॥ বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিল। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রদান শেষে ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবী ফারুখ আহম্মদ আসামিদের পক্ষে তাকে জেরা করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন নান্নু জানান- এ্যাডভোকেট ফারুখ আহম্মদ বিডিআর বিদ্রোহের মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাদী ও সাক্ষীদের জেরা করেছিলেন। বিচার শুরুর ২৭ কার্যদিবসে ৭২ সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান ও জেরা শেষ হয়েছে। সারা দেশের মানুষ এ মামলার বিচার কাজের শেষে রায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবীরা আশা করছেন-আগামী এক/ দেড় মাসের মধ্যে মামলার বিচার নিষ্পত্তি হতে পারে। বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ধার্য তারিখ রবিবার সকালে ফেনী কারাগার থেকে ১৬ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে। দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক মোঃ মামুনুর রসিদের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এ মামলার চার্জশীটে পিবিআই ৯২ সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছেন। আজ পর্যন্ত বিচার শুরুর ২৭ কার্যদিবসে ৭২ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার কাজ শেষে আদালতের কাজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন বিচারক মামুনুর রসিদ। রবিবার আদালত সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন। গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত আলিমের আরবী পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে মাদ্রাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। পরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৫দিন পর গত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে সোনাগাজীতে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। পিবিআই ও পুলিশ এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত ৫ জনসহ ১২ আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
×