ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নেইমার ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ৫ আগস্ট ২০১৯

 নেইমার ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পিছিয়ে পড়েও কিলিয়ান এমবাপে ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার নৈপুণ্যে ফরাসী সুপার কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। শনিবার রাতে চীনের শেনজেনের ইউনিভার্সসাইড স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে স্বদেশী ক্লাব রেনেসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের পরাশক্তিরা। গত এপ্রিলে ফরাসী কাপে এই দলটির কাছেই ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে হেরেছিল টমাস টাচেলের দল। যে কারণে প্রতিশোধ নিয়ে নতুন মৌসুম ২০১৯-২০ শুরু করতে যাচ্ছে পিএসজি। লীগ ওয়ান ও ফরাসী কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দুই দলের মধ্যে মৌসুমের শুরুতে প্রতিবছর হয়ে থাকে ফরাসী সুপার কাপ। গতবারের ফরাসী কাপের চ্যাম্পিয়ন রেনেস আর লীগ ওয়ানে পিএসজি। যে কারণে দল দু’টি ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। শুধু এক ম্যাচের প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে টানা সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন হলো পিএসজি। পাশাপাশি সর্বোচ্চ নয়বার শিরোপাটি জয়ের রেকর্ডও গড়েছে তারা। গত বছর লিঁও’র রেকর্ড ছুঁয়েছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। গত মৌসুমে দর্শক পিটিয়ে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন নেইমার। সেই নিষেধাজ্ঞার কারণেই শিরোপা জয়ের ম্যাচে পিএসজির হয়ে খেলতে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই ফুটবলার। মজার বিষয় হচ্ছে এই রেনেসের বিরুদ্ধে ম্যাচেই কা-টি ঘটিয়েছিলেন সেলেসাও তারকা। হেরে যাওয়া ম্যাচ শেষে রানার্সআপ মেডেল নিতে গিয়ে রেনেসের এক সমর্থকের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই দর্শককে তেড়ে মারতেও যান। ওই ঘটনায় নিষিদ্ধ হওয়ার খেসারত হিসেবেই ম্যাচটি খেলতে পারেননি নেইমার। পাশাপাশি চোট থেকেও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি। যে কারণে নেইমারকে ম্যাচে সাইডবেঞ্চেই রাখেননি পিএসজি কোচ। নেইমারের বদলে খেলান হয় দলে নতুন আসা স্প্যানিশ উইঙ্গার পাবলো সারাবিয়াকে। এ জন্য দলের বাইরে থাকা অন্য সতীর্থদের সঙ্গে বসে খেলা দেখেন নেইমার। পিএসজির একেকটা গোলের পর সতীর্থরা যখন উল্লাস করছিলেন, নেইমার ছিলেন চুপচাপ। খেলা শেষে সতীর্থরা যখন ট্রফি নিয়ে উদ্যাপন করছিলেন নেইমারকে তখনও গম্ভীর দেখা গেছে! এক পর্যায়ে ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমবাপে আর মার্কো ভেরাট্টি নেইমারকে টেনে নিয়ে উদযাপনে শামিল করেন। এরপর অবশ্য নেইমারও শিরোপা জয়ের উৎসব করেছেন। ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণে এগিয়ে থাকা পিএসজি ম্যাচের ১৩ মিনিটে আচমকাই পিছিয়ে পড়ে। ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান ফরাসী মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান হুনো। প্রথম ৪৫ মিনিটে এই গোল আর ফিরিয়ে দিতে পারেনি পিএসজি। যে কারণে আরেকবার রেনেসের কাছে হারের শঙ্কা ভর করেছিল। তবে বিরতির পর ৫৭ মিনিটে বিশ্বকাপ জয়ী এমবাপের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। জার্মান ডিফেন্ডার টিলো কেরারের বাড়ানো বল কাছ থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসী তারকা। ৭৩ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রিকিকে পিএসজির জয়সূচক গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ডি মারিয়া। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনজেনের আদ্রতাপূর্ণ কন্ডিশনে দু’দলকেই বেশ বেগ পোহাতে হয়। ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন পিএসজি কোচ টমাস টাচেল। তিনি বলেন, কঠিন কন্ডিশনে সকলেরই সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়কে আমরা যাচাই করার চেষ্টা করেছি। তারা ভাল খেলেছে। এই জয় আমাদের জন্য অনেক বড় একটি পুরস্কার। অন্তত ১০টি শট আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি শুরু। শিষ্যদের বিশেষ করে ডি মারিয়া, ডিফেন্ডার আবুদু ডিয়ালো ও অধিনায়ক মারকুইনহোসের প্রশংসা করে টাচেল বলেন, আবুদু আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার জন্যই অন্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। বিপজ্জনক সময়ে ডি মারিয়া মাঠে নেমে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। মারকুইনহোস তার যোগ্যতার আরও একবার প্রমাণ দিয়েছে। পুরো মাঠ সেই নিয়ন্ত্রণ করেছে।
×