নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৪ আগস্ট ॥ দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ছিটমহলের কৃষক পরিবারগুলো তাদের পালিত গরু হাটে নিয়ে বিক্রি করতে পারছে না। গরু বিক্রি করতে না পারায় খামারিরা পড়েছে মহা বিপাকে। জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ছিটমহল। ছিটমহলটিই একটি ইউনিয়ন। যার নাম দহগ্রাম ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায় ২৬ হাজার মানুষের বসবাস। রয়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। এসব পরিবারের মধ্যে কয়েকটি খামারসহ প্রতিটি পরিবারে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার গবাদি পশু (গরু)। ঈদে কোরবানি পশু হিসেবে পালিত পশু রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। দহগ্রাম ইউনিয়নে কোন গরুর হাট নেই। ইউনিয়নের পাশে রয়েছে পাটগ্রাম গরুর হাট। সেখানে বৃহস্পতিবার ও রবিবার সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে। দহগ্রামের গরু প্রতিপালন করে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করতে পারছেনা কৃষক পরিবারগুলো। সপ্তাহে দুই হাটের জন্য মাত্র ৩০টি গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার বিধান করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দহগ্রাম ইউনিয়ন হতে গরু নিয়ে আসতে তিনবিঘা করিডোর পার হতে হয়। ভারতীয় বিএসএফ এই তিন বিঘা করিডোর নিয়ন্ত্রণ করে। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার দুই দিনে ৩০টি করে ৬০টি গরু তিন বিঘা দিয়ে পার হতে পারে। এই গরু হাটে বিক্রি করতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ হতে নিতে হয় স্লিপ। প্রতিটি গরুর স্লিপ পেতে চেয়ারম্যান মেম্বাররা প্রায় ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়। যা সাধারণ গরু খামারি বা কৃষক পরিবারগুলো দিতে পারে না। ফলে কৃষক স্লিপ সংগ্রহ করতে না পারায় গরু তিন বিঘা করিডোর পার করে হাটে নিয়ে বিক্রি করতে পারছে না। কিন্তু দহগ্রামে ভারতীয় গরু চোরাকারবারির রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যান মেম্বারের দেয়া প্রতি সপ্তাহের ৬০টি গরুর স্লিপ সংগ্রহ করে তিন বিঘা করিডোর দিয়ে গরু পার করে হাটে বিক্রি করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দহগ্রামের আনছার মিয়ার রয়েছে ২৫টি গরু। তিনি বর্তমানে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে গরু বিক্রি করতে চায় কিন্তু গরু বিক্রি করতে পারছেনা।
তিন বিঘা করিডরে কোটা
দহগ্রাম ছিটমহলের কৃষক গরু বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: