ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ কামালের সঙ্গে গাজী ইস্টিমারে কথোপকথন

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ৫ আগস্ট ২০১৯

 শেখ কামালের সঙ্গে গাজী ইস্টিমারে কথোপকথন

১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলে। তাকে মুক্ত করতে কঠিন ও দৃঢ় সংগ্রামের একজন ছাত্রকর্মী হিসাবে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করায় অন্যদের মতো আমাকেও আসামী হতে হয়। তখন আমরা ৩০/৪০ জন এক সঙ্গে আদালতে হাজিরা দিতাম। পরে অনেকটা রাজধানী কেন্দ্রিক হয়ে যায় আমাদের আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর আমি মাদারীপুর ফিরে গিয়েছিলাম। কারণ, আমার অসুস্থ মাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে হবে। তখন আমাদের গোপালপুর (কালকিনী) হতে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল মাদারীপুর অথবা টরকী থেকে লঞ্চে অথবা বরিশাল হয়ে স্টিমারযোগে। বরিশাল স্টিমার ঘাটে পৌঁছে দেখলাম, ঢাকাগামী গাজী নামের স্টিমারটি প্রস্তুত। যাত্রীরা উঠছে। গাজী স্টিমারে উঠে আমরা ক্যাবিনে উঠলাম। প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই স্টিমারটি ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ছাড়ল। আমি ক্যাবিনের সামনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পরন্ত বেলায় দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। আমার পাশে দাঁড়ানো এক যাত্রী কথা প্রসঙ্গে জানালেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালও এই স্টিমারে করে ঢাকায় যাচ্ছেন। সহযাত্রীর কাছে কামাল ভাইয়ের অবস্থানের কথা শুনে আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করার মনবাসনা দমাতে পারলাম না। কেবিনের ভেতরে গিয়ে মাকে বললাম, আমি বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে তার কেবিনে যাচ্ছি। তোমার কোন কিছু প্রয়োজন হলে বাটলারদের ডাকবে। একই সঙ্গে অন্য যাত্রীদের একটু অনুরোধ করে গেলাম মায়ের প্রতি খেয়াল রাখতে। স্টিমারের যে কেবিনে শেখ কামাল ভাই অবস্থান করছিলেন, সে কেবিনের দরজায় একটু শব্দ করলাম। কামাল ভাই দরজা খুললে আমি আমার পরিচয় দিলাম। তিনি হাসি মুখে আমাকে ভেতরে এসে বসতে বললেন। প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন চা বিস্কুট কিছু খাব কি-না। কেবিনে তার সফরসঙ্গী এক বন্ধু মিলে দু’জনে গল্পগুজব করছিলেন। কামাল ভাই প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি কোথায় পড়াশোনা করছি, নিয়মিত খেলাধুলা করি কি-না ইত্যাদি। আমি বললাম, আমি ফুটবল ও ক্রিকেট দুটিই পছন্দ করি ও খেলে থাকি। তিনি শুনে আনন্দিত হলেন। বললাম, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ ও মামলা মোকদ্দমায় ব্যস্ত কয়েক মাস খেলাধুলা রীতিমতো করা হচ্ছে না। তিনি গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের মাদারীপুর, ফরিদপুর ও বরিশালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামতসহ ধারণা নিলেন। তার সংক্ষিপ্ত বরিশাল যাওয়া প্রসঙ্গে জানালেন, তার ফুফু (আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের স্ত্রী) অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শেখ কামাল ভাইকে সেদিন দেখাচ্ছিল অত্যন্ত সৌম্য শান্ত চেহারার অধিকারী। হাল্কা পাতলা লম্বা শরীর, একটি সাধারণ শার্ট পরিহিত, মোটা গোঁফের নিচে সৌজন্য মিশ্রিত স্মীত হাসি, মোটা কালো ফ্রেমের চশমা পরিহিত দেশ ও জাতির গৌরব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্রই নয়, মনে হচ্ছিল আমি যেন একজন জুনিয়র বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সামনা-সামনি বসে গল্প করছি। ঘণ্টাখানেক আগে যখন আমি কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে একাকি বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে শঙ্কা-ভয়ভীতির জন্ম নিয়েছিল, তা যেন মুহূর্তের মধ্যেই কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন থেকে সব দূরীভূত হয়ে গেল। তার কথাবার্তার মধ্যে ছিল বেশ বিচক্ষণতা, বুদ্ধি দীপ্তমান উজ্জ্বল ভবিষ্যত, যেমন এক সম্ভাবনাময়ী ভদ্র মার্জিত সামাজিকতার গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর আমার ভগ্নিপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, আবিদুর রেজা খান সাহেবের এলিফ্যান্ট রোডের বাসভবনে এসেছিলেন। সেই মুহূর্তে আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করার। কথা প্রসঙ্গে কামাল ভাইকে সেই স্মরণীয় মুহূর্তটির কথা জানালে তিনি বঙ্গবন্ধুর মতোই সহাস্যে আনন্দ প্রকাশ করলেন। কামাল ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা ও কথোপকথনে তার ওপর আমার গভীর শ্রদ্ধা বোধ সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বয়জ্যেষ্ঠ সন্তানের কথাবার্তায় আমার কাছে পরিস্ফুটিত হয়েছিল তার মধ্যে উজ্জীবিত সৌম্য, সৌজন্যতা, দেশের খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও সমাজ জীবনের এক অনন্য ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবে। তার কথায় ছিল না কোন বিদ্বেষ ও অহমিকা। গল্পের মাঝে চা বিস্কুট শেষ করে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে যখন প্রায় রাত নয়টা, তখন বললাম কামাল ভাই, এবার আমি আমাদের কেবিনে যাই, হয়তবা আমার মা এতক্ষণে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন রাতের খাবারের জন্য। জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মায়ের কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো ওখানে? আরও বললেন, আমি তোমার মায়ের জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করি, তুমি বরং আমাদের সঙ্গে এক সঙ্গে খাবার খেয়ে যাও। উত্তরে জানালাম বাড়ি থেকে সঙ্গে টিফিন ক্যারিয়ারে মাছ, মাংস, ভাত সবই রয়েছে, বরং আপনাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি। বিনয়ের সঙ্গে বললেন, আমরা দু’জন রাতের খাবারের অর্ডার ইতোমধ্যে দিয়েছি। তুমি তা হলে তোমার মায়ের সঙ্গে রাতের খাবার শেষ কর এবং তোমার মাকে আমার সালাম জানিও এবং দোয়া করতে বলিও। ঢাকায় অবশ্যই দেখা করতে ভুলবে না। দেশের উত্তাল গণঅভ্যুত্থান ও সত্তর সালের নির্বাচন এবং মাদারীপুরের পাক-সামরিক সরকারের আদালতে নিয়মিত হাজিরা, সব কিছুর মধ্যে ’৭১- এর ২৬ মার্চ, পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক সমগ্র দেশে নজিরবিহীন গণহত্যা শুরু করলেÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেই। সেই লক্ষে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষ করি। আমরা বিভিন্ন জেলার প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য অধীর আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছিলাম। ঠিক সেই সময়ের একদিন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, কর্নেল ওসমানীর সঙ্গে তার এডিসি হিসেবে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসার শেখ কামাল ভাই। তার পরিধানে ছিল সামরিক খাকি পোশাক ও মাথায় টুপি, চেহারার মধ্যে ছিল একজন বাঙালী তরুণ টগবগে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারের দেশমাতৃকার সংগ্রামে উৎসর্গকৃত দৃঢ় সংগ্রামী প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত ও সঙ্কল্পে অঙ্গীকারবদ্ধ বীরযোদ্ধার এক অবিস্মরণীয় উপস্থিতি। প্রধান সেনাপতির সঙ্গে শেখ কামালের উপস্থিতি যেন সমাজে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিক অনুপ্রেরণা ও শক্তির সঞ্চার করেছিল। সেদিন কর্নেল ওসমানীর পেছনে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা গেরিলাদের মহুর্মুহু করতালির উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অফিসার শেখ কামাল তাঁর দু’হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে উঁচু করে অভিবাদন জানালেন। সেদিন ১৯৬৯-এর গাজী স্টিমারে সাক্ষাত ও পরিচিত শেখ কামাল এবং খেলাঘরে আগত শেখ কামাল ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চেহারা ও আকৃতির। সেদিন দেখেছিলাম একজন ভদ্র শান্ত সাধারণ শেখ কামাল ভাইকে। কিন্তু খেলাঘরে প্রত্যক্ষ করেছিলাম শেখ কামালকে একজন লড়াকু মাতৃভূমির মুক্তিসংগ্রামে নিবেদিত বাঙালী সামরিক যোদ্ধা অফিসার হিসেবে। ওই সমাবেশে হাজার মুক্তিযোদ্ধার মাঝে তার সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ পাকিস্তানী হানাদার মুক্তি হলে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আর সাক্ষাত করার সৌভাগ্য হয়নি। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার হতে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করলে, ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের পথে লাখ লাখ জনতার মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী সুউচ্চ ট্রাকটির ওপর বঙ্গবন্ধুর পেছনে সেদিন শেখ কামাল ভাইকে দেখেছিলাম স্বাধীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একজন অনুগত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় দন্ডায়মান । ১০ জানুয়ারি, ১৯৭১ শেখ কামালকে মনে হচ্ছিল যেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের একজন গর্বিত, নিবেদিত সংগ্রামী যুদ্ধফেরত বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের যুব সমাজের খেলাধুলার উন্নয়ন ও উন্নত মানের পরিবর্তনের এক মহান সংস্কারক, স্রষ্টা ও পথ প্রদর্শক হিসেবে অগ্রণী ও অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গিয়েছেন শহীদ শেখ কামাল। অপরদিকে দেশের সঙ্গীত ও নাটককে স্বাধীন ও আধুনিকতার মাধ্যমে রূপান্তরিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ছাত্র, যুব সংস্কৃতিমনাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ভাই একজন দক্ষ ও মোহনীয় সেতার বাদক হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়। কামাল ভাই আজ জীবিত থাকলে তার অপরিসীম ত্যাগ, প্রচেষ্টা সাংগঠনিক দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার দ্বারা দেশের ক্রিকেট ও ফুটবলকে হয়তবা এতদিনে বিশ্বের প্রথম সারিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করতেন। ১৯৭১ সালে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ৩০ লাখ বাঙালীর রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক দেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছিলাম। শহীদ শেখ কামাল তার মেধার মাধ্যমে মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার জাতীয় একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। তার এই মহান ব্রত ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এক বিরামহীন তাৎপর্যপূণ মহৎ প্রচেষ্টায়। সদা হাস্যমুখী, সাদামাটা চাল চলন, কথাবার্তায় ছিল না শেখ কামালের মধ্যে কোন অহমিকা বা বিলাসিতা। দেশের স্রষ্টা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সন্তান হিসেবে তিনি সকলের সঙ্গে মিশতেন একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে। পরোপকারী হিসেবে এগিয়ে যেতেন ছাত্র, যুবক বা যে কোন মানুষকে সাহায্যের কাজে। তিনি চেয়েছিলেন ছাত্র ও যুব সমাজকে একটি সঠিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে, তাদের নেতৃত্ব প্রদান করে স্বাধীন দেশের যুব-তরুণ সমাজকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা এবং শরীর চর্চায় নিয়োজিত করে তাদের ভবিষ্যতকে সুশৃঙ্খল, মার্জিত, শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। ১৯৬৯-এর উত্তাল গণআন্দোলনের সংগ্রামী দিনগুলো ও ’৭১-এর হাজার স্মৃতির মধ্যেও শহীদ শেখ কামাল ভাইয়ের সঙ্গে বরিশাল-ঢাকা যাত্রাপথের সাক্ষাত এবং কথোপকথনের দিনটি আমার মনে আজও একটি উজ্জ্বল স্মৃতিময় মুহূর্ত হয়ে হৃদয়ে গ্রথিত আছে। বহু বছর ধরে নদীপথে আর মাদারীপুর যাওয়া হয় না, প্রয়োজনও নেই। সড়কপথে বুড়িগঙ্গা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় গাজী স্টিমারটি দেখার সুযোগ হলেই মনে পড়ে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনের তার মার্জিত স্মীত হাসি ও আন্তরিক আতিথেয়তার কথা। মনে পড়ে ধানমন্ডির আবাহনীর সবুজ মাঠে ঘেরা দেশের খ্যাতনামা ফুটবল ক্লাব, তথা শেখ কামাল ভাইয়ের হাতে গড়া দেশের খ্যাতনামা ক্রীড়া সংগঠনগুলোর কথা। কামাল ভাইয়ের জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী
×