ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি

কারখানা পরিদর্শনে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এ্যাকর্ড

প্রকাশিত: ১২:১৪, ৪ আগস্ট ২০১৯

কারখানা পরিদর্শনে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এ্যাকর্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জোট এ্যাকর্ড। নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অজুহাতে বিভিন্ন কারখানাকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে সংস্থাটি। এতে করে কমছে পোশাক রফতানি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক। শনিবার রাজধানীর হোটেল আমারিতে পোশাক কারখানার অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মশালা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক। এ সময় এ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ক্রেতাজোট এ্যাকর্ডকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, নিজেদের মর্জি মতো আর কারখানা পরিদর্শন করা যাবে না। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের পর এ পর্যন্ত ১৬শ’র বেশি কারখানা এ্যাকর্ড পরিদর্শন করলেও অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যুতে সনদ দিয়েছে মাত্র ২শ’র মতো কারখানাকে। এর ফলে অন্যান্য কারখানাগুলো সবকিছু ঠিকঠাক করেও ক্রেতাদের সঙ্গে দাম নির্ধারণ ও ক্রয়াদেশ নিয়ে বিভিন্ন রকম ঝামেলায় পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ১৬শ’ কারখানায় সনদ দিতে আরও কত সময় প্রয়োজন হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজিএমইএ সভাপতি। এরপর থেকে কোন কারখানা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা ক্রেতাদের জানানোর আগে বিজিএমইএর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি। হাইকোর্টের আদেশের পর সমঝোতা চুক্তি হয়। কিন্তু এ্যাকর্ড চুক্তির শর্ত না মেনে একতরফা নতুন নতুন শর্তজুড়ে দিচ্ছে- এমন অভিযোগ করে রুবানা হক বলেন, এ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে আমাদের দেশে কাজ শুরু করে সেভাবেই আমাদের কারখানাগুলোর সেফটির বিষয়টি মাথায় রেখেই শিল্পসংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগ করেন। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের নতুন করে হওয়া চুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই নতুন নতুন শর্তজুড়ে দিচ্ছে। বিজিএমইএর অজান্তেই গঠন করা হয়েছে এ্যাকর্ডের প্রোটোকল। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে এ্যাকর্ড কারখানাগুলোর ওপর নতুন নতুন শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত ছয় বছরে এ্যাকর্ড ১৬০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২০০ প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শন সনদ দিয়েছে। গত ৮ মে থেকে তারা সময় বাড়িয়ে ২৮১ দিনের সময় নিয়েছে ১৪০০ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি বলেন, বিজিএমইএর সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছাড়াই ৪০০ কারখানাকে সতর্ক (এক্সেলেটেড) করেছে এ্যাকর্ড। কারখানাগুলোর নক্সা, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটির পরও টেস্টিংয়ে ফেল দেখানো হচ্ছে। এতে রফতানি আদেশ ও কারখানার ব্যবসা কমেছে। শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছে। রুবানা হক বলেন, এ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। যে কাজটি তাদের পাঁচ বছর আগে করার কথা ছিল সেটি তারা এখন করছে। যা আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া বন্ধ করতে তিনি দাবি জানান।
×