ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সহপাঠী যখন বানর!

প্রকাশিত: ১১:১৫, ৪ আগস্ট ২০১৯

সহপাঠী যখন বানর!

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের একটি স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করছে লেঙ্গুর প্রজাতির একটি বানর। স্কুলের ছেলেমেয়েরাও তাকে সানন্দে সহপাঠী বলে মেনে নিয়েছে। তারা এখন একসঙ্গে বসে শিক্ষকের লেকচার শোনে, খাবার খায়, টিফিন পিরিয়ডে খেলাধুলা করে, আবার ক্লাস শেষে যার যার বাড়ি ফিরে যায়। গত ১২ দিন ধরে এভাবেই চলছে ভেঙ্গালামপল্লী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, এত ভদ্র লেঙ্গুর সচরাচর দেখা যায় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আদর করে তার নাম দিয়েছে ‘লক্ষ্মী’। সে স্কুলে আসতে কখনই দেরি করে না, ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাসে হাজির। আর সেখানেও সে কোন দুষ্টামি নয় বরং মন দিয়ে শিক্ষকের কথা শোনে, স্কুলের নিয়ম-কানুন মেনে চলে। এমনকি সকালের এ্যাসেম্বলিতেও যোগ দেয় লক্ষ্মী। তবে পড়াশোনার পথে তার সামনে যে কোন বাধা আসেনি, তা কিন্তু নয়। ছেলেমেয়েদের মনোযোগ সারাক্ষণ তার দিকে থাকছে দেখে লক্ষ্মীর ক্লাসে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতেও দমে যায়নি সে। দরজা বন্ধ করে রাখলেও ক্লাস চলাকালে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনত এ ভদ্র লেঙ্গুর। এভাবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে লক্ষ্মী। পশু চিকিৎসক ডাকা হলে তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের দেয়া জাঙ্কফুড খেয়ে খেয়ে পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার। এরপর থেকেই লক্ষ্মীর জন্য কড়া ‘ডায়েট কন্ট্রোলের’ ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তেল জাতীয় সব খাবার বাদ, এখন টিফিন পিরিয়ডে তাকে শুধু ফলমূলই খেতে দেয়া হয়। সবার সেবাযতেœ দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফের তাকে ক্লাসে বসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অন্যদের মতো পড়তে না পারলেও বাধ্য ছাত্রীর মতো ঠিকই শিক্ষকের কথা শোনে লক্ষ্মী। উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ ঘোচাতে পশুপাখি পোষার পরামর্শ দেয়া হয়। ভেঙ্গালামপল্লী স্কুলে লক্ষ্মী এ কাজটিই করছে। -ওয়েবসাইট
×