ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরমাণু শক্তি কমিশনে উদ্ভাবিত পদ্ধতি শীঘ্রই মাঠে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৪ আগস্ট ২০১৯

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরমাণু শক্তি কমিশনে উদ্ভাবিত পদ্ধতি শীঘ্রই মাঠে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কীট জীবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকরী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। পদ্ধতিটির বিভিন্ন কারিগরি দিক সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান শনিবার কমিশনের সাভারস্থ উল্লিখিত গবেষণাগারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পদ্ধতিটি শীঘ্রই মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে জানান, ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কার্যক্রমকে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং কার্যক্রমটি গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রী এ পরিদর্শন করেন। এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। উক্ত মশা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হয় এবং ঐ স্ত্রীজাতীয় এডিস মশা যে ডিম/লার্ভা নির্গত করে তা থেকে এডিস মশার বংশবিস্তার হয় না। উক্ত ডিম/লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমান হ্রাস পেতে থাকে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। পাশাপাশি এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, তাই পরিবেশে এর কোন বিরূপ প্রভাব নেই। এই পদ্ধতিতে শুধু বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোন সম্ভাবনাই নেই। তদুপরি পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না। কাজেই কমিশনের এসআইটি পদ্ধতিটি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর এই পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. এম আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মোঃ সলিমুল্লাহ, এইআরই এর বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। -বিজ্ঞপ্তি।
×