ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্যানারি প্রস্তুত ॥ কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৪ আগস্ট ২০১৯

ট্যানারি প্রস্তুত ॥ কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত

এম শাহজাহান ॥ প্রায় সোয়া কোটি পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রস্তুত চামড়া শিল্প। এবার কোরবানির পশু থেকে এই চামড়া পাওয়া যাবে। ট্যানারি এ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে, এবার চামড়া নিয়ে টানাহেঁচড়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। সাভার চামড়া শিল্পনগরীর ১৫৫ শিল্পের মধ্যে প্রস্তুত ১২৩। চামড়া রফতানি করে এবার ৪৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চামড়া শিল্পের উন্নয়নে আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর ১৫৫ ট্যানারি শিল্পের মধ্যে কোরবানি সামনে রেখে ১২৩ ট্যানারি পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে। পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্প স্থাপনে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের ২৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। আবেদন করা মাত্র গ্যাস, বিদ্যুত ও পানির সংযোগ পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। কোরবানি সামনে রেখে কাঁচা চামড়া কেনাবেচা ও মজুদের প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। কাঁচা চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী খাতের কয়েকটি ব্যাংক স্বল্পসুদে ব্যবসায়ীদের নামে বড় অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করবে। ব্যাংক ঋণ পেতে উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) থেকে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তবে এতসব উদ্যোগের মধ্যে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া রফতানি কিছুটা হ্রাস পায়। এর মূল কারণ হচ্ছে কমপ্লায়েন্স ইস্যু। এই ইস্যুতে আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে চামড়া আমদানিতে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না। বিশেষ করে পরিবেশ দূষণ, শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ওপর তাগিদ রয়েছে বিদেশী ক্রেতাদের। এসব সমস্যা সমাধানে চামড়া শিল্প বিকাশে একটি যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করছে সরকার। শীঘ্রই নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। কমপ্লায়েন্স ইস্যু সমাধানের দিকনির্দেশনা থাকবে এই নীতিমালায়। এছাড়া সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর সকল শিল্প পুরোদমে চালু করতে একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। রোডম্যাপের আওতায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বেসরকারী খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে সাভারের মতো রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আরও দুটি চামড়া শিল্পনগরী স্থাপনে কাজ শুরু করা হয়েছে। সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিচালনার জন্য ‘ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোরবানির চামড়া সংগ্রহে যত প্রস্তুতি ॥ সারা বছরে যত চামড়া আহরিত হয় তার প্রায় অর্ধেক হয়ে থাকে কোরবানির সময়। এই সময়টাতে তাই ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি থাকে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এ বছর গরু, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখের মতো। এর পুরোটাই প্রায় কোরবানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর বাইরেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে কোরবানি সামনে রেখে কিছু গরু আমদানি হবে। কোরবানির পশুর এই চামড়া সংগ্রহে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। নগদ টাকার যোগান বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত লবণ সংগ্রহ করছে ট্যানারিগুলো। এ বছর কাঁচা চামড়া থেকে ওয়েট ব্লু ও ফিনিশড চামড়া উৎপাদন করবে সাভারের ১২৩টি ট্যানারি। তবে কাঁচা চামড়ার ন্যায্যদাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ প্রসঙ্গে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, চামড়া জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় ন্যায্যদাম নিশ্চিত করা হবে। বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে মন্ত্রণালয় সজাগ রয়েছে। সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে। দাম নিয়ে কেউ কারসাজির সুযোগ নিতে পারবে না। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোরবানির চামড়া পানির দরে কিনতে এ বছরও কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত কিছু শিল্পের উদ্যোক্তা ও ট্যানারি মালিকগণ। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে চামড়ার দাম কমানো হয় প্রতিবছর। বিশ্ব বাজারে চামড়াজাতপণ্যের ব্যবহার ও দাম বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেও চামড়াজাত পণ্যের দাম অনেক বেশি। গরুর চামড়া থেকে প্রস্তুতকৃত একটি বেল্ট কিনতে ভোক্তাকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। চার থেকে ৫ হাজার টাকার নিচে কোন জুতা বিক্রি হয় না খুচরা বাজারে। অথচ বড় আকারের একটি গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয় মাত্র ৫০০-৬০০ টাকায়। এ কারণে কোরবানির চামড়ার বড় সুবিধাভোগী মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো এখন আর চামড়া নিতে আগ্রহ দেখায় না। ফলে অনেক কোরবানিদাতা ন্যায্যদাম না পেয়ে চামড়া নষ্ট করে ফেলেন। গত বছর দেশে বিপুল পরিমাণ গরু ও ছাগলের চামড়া নষ্ট করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন আহমেদ বলেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। গতবছর কোরবানির সময় সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে রফতানিতে। গত অর্থবছরের চামড়া রফতানি হ্রাস পেয়েছে। এ থেকে প্রমাণিতÑএ খাত ভাল অবস্থায় নেই। এদিকে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্জিত হয়েছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ কম। চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪ কোটি ডলার। অর্জিত হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। ঘাটতি হয়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। জুতা রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি ডলারের। এর বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশের কিছু বেশি। বাংলাদেশের ফিনিশড চামড়ার বড় বাজার ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ। চামড়ার ব্যাগজাতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। বেলজিয়াম, হংকং, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে বেশ ভাল পরিমাণে রফতানি হয় ব্যাগজাতীয় পণ্য। আর চামড়ার জুতার সবচেয়ে বড় বাজার জার্মানি। এ ছাড়া কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণে রফতানি হয় বাংলাদেশের চামড়ার জুতা। এমনকি জাপানেও বাংলাদেশী চামড়ার ব্যাগ ও জুতার চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পাকা চামড়া ও জুতার পাশাপাশি এখন ট্রাভেল ব্যাগ, বেল্ট, ওয়ালেট বা মানিব্যাগ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এছাড়া চামড়ার তৈরি নানা ফ্যান্সি পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রচুর হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা এসব পণ্য তৈরি করে বিশ্বের বাজারে পাঠাচ্ছে। চামড়া শিল্প বিকাশে কাজ করবে টাস্কফোর্স ॥ চামড়া শিল্প বিকাশে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বেসরকারী খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। চামড়া শিল্প রক্ষায় কাজ করবে এই টাস্কফোর্স। এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সম্প্রতি চামড়া সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে জনকণ্ঠকে বলেন, শীঘ্রই টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই খাতকে ২০১৭ সালে বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হলেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। অথচ বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যের বাজার ২২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, চামড়া শিল্পনগরীতে সিইটিপি স্থাপন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তের আলোকে অবশিষ্ট কাজও বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে টিমওয়ার্কের ভিত্তিতে কাজ করছে। আশা করি, রূপকল্প-২১ সামনে রেখে অচিরেই চামড়া শিল্প খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। জানা গেছে, সম্পূর্ণ দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর চামড়া শিল্পের অপার সম্ভাবনা থাকলেও এখনও তা পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে হাজারীবাগ থেকে সাভারের পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরীতে ট্যানারি স্থানান্তরে সক্ষম হয়েছে। তবে ধলেশ্বরী নদীতে যেভাবে চামড়ার বর্জ্য পড়ছে তাতে ওই এলাকার পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করেছেন পরিবেশবাদীরা। এ প্রসঙ্গে শিল্প সচিব আবদুল হালিম জনকণ্ঠকে বলেন, দেশীয় ট্যানারি শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী গড়ে তুলতে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও বিসিক চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় নীতি-সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করে তা মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে চামড়া শিল্পের দ্রুত সম্প্রসারণ হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বর্জ্য শোধনাগার পরিচালনার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে ॥ সাভারের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি পরিচালনার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে ন্যস্ত করা হবে। সিইটিপি পরিচালনার জন্য একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এ কোম্পানির নাম দেয়া হয়েছে ‘ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’। চীনা ঠিকাদার কোম্পানি শীঘ্রই সিইটিপি পুরোপুরি চালু এবং দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করে কোম্পানির কাছে পরিচালনার দায়িত্বভার হস্তান্তর করবে। এ প্রসঙ্গে শিল্প সচিব আবদুল হালিম আরও বলেন, এ কোম্পানি পরিচালনায় কোন ধরনের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হলে শিল্প মন্ত্রণালয় তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও স্টেক হোল্ডারদের সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক বিষয়ে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সালমান এফ রহমান বলেন, পরিবেশ দূষণের দায়ে দেশের চামড়া থেকে পণ্য রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। অতিদ্রুত সিইটিপি সংশোধন করে সম্পূর্ণ সমাধান করতে হবে। এ জন্য ট্যানারি মালিক ও বিসিককে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন সবাই মিলে সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে; যাতে সঠিকভাবে চামড়া শিল্পনগরী পুরোপুরি চালু করা যায়। এছাড়া বৈঠকে ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে সলিড বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, ট্যানারি মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ এবং লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের কমপ্লায়েন্স অনুসরণের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
×