ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে আরও চারজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৪ আগস্ট ২০১৯

ঠাকুরগাঁওয়ে আরও চারজনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৩ আগস্ট ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে শুক্রবারের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও দুজন মহিলাসহ চারজন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁঁড়িয়েছে ১২ জনে। শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বলাকা উদ্যান এলাকায় একটি ভটভটি ও মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন নারীসহ ৮জন মারা যায় এবং ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১১জনের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), টাকাহারা গ্রামের মৃত আবু সাঈদের স্ত্রী কামরুন নেচ্ছা (৫০), সদর উপজেলার ডেবাডাঙ্গী লক্ষীপুর গ্রামের তরনী বর্মণের ছেলে ক্ষিতিশ বর্মণ (৩৫) ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শহীদ আলী আকবর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, বীরগঞ্জের কাহারোল ইউনিয়নের আব্দুর রউফ (১৯) মারা যায়। এ সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে মা-বাবা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে কিশোর সবুজ ও তার ছোট ভাই রায়হান (৪)। সবুজ জানায়, তার বাবা হঠাৎ মাস দেড়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিনাজপুরের এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসক বাবাকে দেখার পরে এক মাসের ওষুধ দেন। বাবা ওষুধ খেয়ে অনেকটা সুস্থ। টাকা-পয়সা জোগাড় করে শুক্রবার আবারও সেই চিকিৎসককে দেখানোর জন্য রওনা হন। সকাল ৭টায় মাকে সঙ্গে নিয়ে চুনিহারি এলাকায় বালিয়াডাঙ্গী-দিনাজপুর রুটের নিশাত পরিবহনে ওঠেন বাবা। হঠাৎ সাড়ে ৮টার সময় বাড়িতে খবর আসে দুর্ঘটনার। বাবা-মা দু’জনই আর নেই। সবুজ আরও জানায়, তারা তিন ভাই- বোন। বড় বোন সুমি আক্তারের বিয়ে হয়েছে বছর খানেক আগে। সবুজ ও তার ছোট ভাই রায়হানকে নিয়েই ছিল বাবা-মায়ের সুখের সংসার। চার বছরের রায়হান লাশ দেখেও বুঝতে পারছে না তাদের মা-বাবা পৃথিবীতে নেই। মা-বাবাকে হারিয়ে এখন তারা কীভাবে বাঁচবে? সে চিন্তাতেই তাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটে পথচারী স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, সিলেট-তামাবিল সড়কে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পথচারী। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শহরতলীর খাদিমপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, তামাবিল থেকে আসা সিলেটগামী একটি বাস হিলভিউ টাওয়ারের সামনে এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন ওই পথচারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাভারে বৃদ্ধ সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, উল্টো পথ দিয়ে আসা একটি ট্রাকের চাপায় বৃদ্ধ পথচারী নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার-হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বেলা ১২টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার উল্টো পথ দিয়ে ট্রাকটি আসছিল। এ সময় বৃদ্ধ পথচারী রাস্তা পারাপারের জন্য মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকলে ট্রাকটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার আধ ঘন্টা পরেই তার মৃত্যু ঘটে। জানা যায়, নিহত পথচারীর নাম হাজী আব্দুল খালেক ( ৮০)। তিনি সাভারের কোনডা গ্রামের বৈলাপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। বাউফলে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা বাউফল থেকে জানান, উপজেলার বাউফল-বগা সড়কের হোগলা এলাকায় শনিবার বিকেলে পিকআপভ্যান ও টমটমের মধ্যে সংঘর্ষে মিজানুর রহমান (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কনকদিয়া গ্রামে। বাবার নাম মোঃ নূর মোহাম্মদ।
×