সৌদি আরবে নারী স্বাধীনতা বৃদ্ধির নতুন আদেশে উচ্ছ্বসিত দেশটির নারীরা। শুক্রবার জারি হওয়া এক ফরমান অনুসারে, এখন থেকে ২১ বছর হলেই পরিবারের পুরুষ সদস্যের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও একা একা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা।
চাকরির ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষের সমান অধিকার পাবেন। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি সৌদি নারীরা। খালিজ টাইমস।
দুবাই প্রবাসী লায়লা জানান, সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন উদ্যোগে মোটেই অবাক হননি তিনি। লায়লা বলেন, তারা সৌদি নারীদের মর্যাদা সত্যিই অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। এত অল্প সময়ে তারা যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন এনেছেন, তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। কয়েক বছর ধরে যে পরিবর্তন দেখছি, তা থেকেই জানতাম, এটি (নারী স্বাধীনতা) নিয়েও কাজ চলছে। এ অগ্রগতি স্বাভাবিক। তার মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে যেসব সৌদি নারী, যারা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কিছু করতে পারেননি, তারা নতুনভাবে স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি ২৫ বছর বয়সী সারা ইদ্রিসও। দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি। সারা বলেন, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া পাসপোর্ট আবেদন ও একা ভ্রমণের অনুমতি দেয়ার এ আদেশ সত্যিই দারুণ খবর। এ পরিবর্তন নারীর ক্ষমতার পরিপূর্ণ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেবে। তিনি বলেন, আমি ছোটবেলায় সৌদি আরব ছিলাম। মনে আছে, তখন সেখানে বিশেষ ধরনের পোশাক, এমনকি বাইকে একা একা হাঁটার ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম ছিল। সেখানে কোন স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু, দুবাই চলে আসার পর থেকেই দেখছি, একটু একটু করে আইন শিথিল হচ্ছে। যতবারই দেখি, গতবারের চেয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এতদিন সৌদি নারীরা পাসপোর্ট নিতে গেলে তার জন্য বাবা, স্বামী বা পরিবারের অন্য পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হতো। যে নারীর নিজস্ব পাসপোর্ট নেই, তাকে পুরুষ অভিভাবকের পাসপোর্টের একটি পাতা দেয়া হতো। এতে সৌদি নারীদের একা একা ভ্রমণ একপ্রকার অসম্ভব ছিল। শুক্রবারের (২ আগস্ট) আদেশ অনুযায়ী, সৌদি নারীরা একা একা পাসপোর্ট ও বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও এখন থেকে বিয়ে বা বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তানের জন্ম রেজিস্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি, নারীরাও সন্তানের আইনগত অভিভাবক হতে পারবেন।
২১ বছর হলেই পুরুষ সদস্যের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন
নয়া স্বাধীনতায় খুশি সৌদি নারীরা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: