ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৩ আগস্ট ২০১৯

 বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পৃথকস্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুল পড়ুয়া শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরনো ঢাকার হাজারীবাগের গণকটুলীতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে বাবা-ছেলেসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া নগরীতে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানী ডেমরার কোনাপাড়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মোফাজ্জল হোসেন রিয়াব (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম মোঃ দিদার হোসেন। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বোঙ্গা গ্রামে। সে পরিবারের সঙ্গে ডেমরা কোনাপাড়া আরাবারি বটতলায় থাকত। মৃত রিয়াবের দাদি সাহিদা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে বাসার পাশের একটি মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় নাতি রিয়াব। এ সময় মাঠের পাশে একটি দোতলা ভবনের ছাদে বল চলে যায়। সেখান থেকে বল আনতে গিয়ে নাতি রিয়াব বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে লালবাগের শহীদনগর এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শামীম হোসেন বেপারি (২৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম মোঃ আলী বেপারি। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার টোলারচর গ্রামে। তিনি লালবাগের শহীদনগর ১০ নম্বর গলির একটি কারখানায় কাজ করতেন। নিহতের সহকর্মী আমির হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন শামীম। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে তিনজন দগ্ধ ॥ পুরনো ঢাকার হাজারীবাগের গণকটুলীতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে বাবা- ছেলেসহ তিনজন দগ্ধ হলেন। দগ্ধরা হচ্ছেন দোকানের মালিক জয়নাল আবেদিন (৬২), তার ছেলে শহীদ (৩৮) এবং ওই দোকানের কর্মচারী সজীব(২৩)। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আব্দুল খান জানান, শহীদের শরীরের ৪১ শতাংশ, জয়নাল আবেদিনের ১০ শতাংশ ও সজীবের ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে শহীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। দগ্ধ শহীদের ভাই মোঃ শাহিন গণমাধ্যমকে জানান, গণকটুলী লেনের ৩৪/এল নম্বর বাসায় তারা থাকেন। বাসার পাশে তার বাবার একটি ছোট খাবারের হোটেলে রয়েছে। দোকানটিতে সকালে রুটি ও সবজি এবং বিকেলে পুরি ও শিঙ্গাড়া বিক্রি করা হতো। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের পাইপ ছুটে যায়। এরপর সেখান থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। পরে বাবা, ছোট ভাই শহীদ ও দোকান কর্মচারী সজীব মিলে পাইপটি ঠিক করে লাগানোর চেষ্টা করলে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে তিনজনই দগ্ধ হয়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের শরীরে আগুন নিভিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান। মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৮৩ জন গ্রেফতার ॥ রাজধানীতে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ১২৬টি ইয়াবা, তিন হাজার ১৯০ পুরিয়া হেরোইন, কিছু গাঁজা ও ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬২টি মামলা করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মাসুদুর রহমান। পাঁচজনকে পুলিশে সোপর্দ ॥ মাদক সেবনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীসহ পাঁচ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটকরা হচ্ছে, ওই হলের কর্মচারী মোশারফ হোসেন পারভেজ। তার চার সঙ্গী বহিরাগত অর্ণব সাগর,অনিক হাসান, মেহেদী কাজী ও টিপু সুলতান রনি। তাদের আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। হল সূত্রে জানা যায়, মোশারফ হোসেনের সঙ্গে বহিরাগত ওই ব্যক্তিরা হলের একটি কক্ষে থাকাবস্থায় অন্য কর্মচারীরা বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বিষয়টি হলের আবাসিক শিক্ষকদের জানানো হলে তারা এসে তালা খুলে কক্ষে ঢোকেন। এ সময় সেখানে মাদক পাওয়া না গেলেও মাদক সেবনের উপাদান পাওয়া যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর টিমের সদস্যদের মাধ্যমে অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
×