ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দু’একদিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর নতুন ওষুধ আনা হচ্ছে ॥ আতিক

প্রকাশিত: ১০:১৩, ৩ আগস্ট ২০১৯

 দু’একদিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর নতুন ওষুধ আনা হচ্ছে  ॥  আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই এডিস মশা মারার নতুন ওষুধের নমুনা আনা হবে। এসব ওষুধের নমুনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর পরীক্ষা করে ‘কার্যকর’ বলে প্রমাণিত হলে অতি দ্রুতই তা কেনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ২৪০০ যুবকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকেই প্রাথমিক পর্যায় ৬শ’ যুবকে নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ডিএনসিসি যৌথভাবে কাজ শুরু করবে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এসব যুব এডিস মশা নির্মূলে প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশটি ভাগে ভাগ করে ৫৪ ওয়ার্ডে কাজ করবে। শুক্রবার সকাল দশটায় উত্তরায় হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ওয়ার্ডভিত্তিক বাসা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে এডিস মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মেয়র আতিক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আফছার উদ্দিন খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এডিস মশা নির্মূলে কাজ করে যাওয়ার জন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চয়ই এডিস মশামুক্ত ঢাকা গড়তে পারি, দরকার শুধু সচেতনতা আর সামাজিক আন্দোলন। নিজ নিজ বাসা বাড়ি, অফিস-আদালত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেয়া যাবে না। যেখানেই পরিত্যক্ত বালতি, কন্টেনার ইত্যাদি পাওয়া যাবে, সেগুলো উপুড় করে দিতে হবে। মেয়র বলেন, এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করছে। এডিস মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রেহাই দিতে এবার বাসাবাড়িতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি এখন থেকে নিজেই মশা মারার ওষুধ কিনতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে ওষুধের মান সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, দুই-একদিনের মধ্যে নতুন ওষুধের নমুনা এসে পৌঁছবে। নমুনা পরীক্ষার যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ ক্রয় করা হবে। মেয়র বলেন শুধু ভারত নয় আমরা যে কোন দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে প্রস্তুত। নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমাদের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই, এখন থেকে বছরের ৩৬৫ দিনই এডিস মশা নিয়ে কাজ করতে হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা নির্মূলে প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশ ভাগে ভাগ করে ৫৪ ওয়ার্ডে সোমবার থেকে ডিএনসিসি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ শুরু করবে। এ কর্মযজ্ঞে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী দরকার হবে। যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ৬শ’ যুব আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কমিটি ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে স্কাউটস, ছাত্র-ছাত্রী, এলাকাবাসী ও যুব সংগঠনসমূহকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা এলাকা অপরিচ্ছন্নতার পূর্ণ তথ্য দিয়ে ডিএনসিসিকে সহায়তা করুন। সবার সহযোগিতায় আমরা মশার নিধন করতে চাই। মশা মারতে সকল স্তরের নাগরিক নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, সকল মশক সুপারভাইজার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ফোন নাম্বার আজ তিনটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকসহ সকল নাগরিক এসব সংগ্রহ করুন। একই সঙ্গে শীঘ্রই অন্যান্য জাতীয় দৈনিকেও এসব তথ্য প্রচার করা হবে। এছাড়া মশককর্মীদের জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে মনিটর করা হবে। মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে মশারি দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক রোগীকে হাসপাতালে অবশ্যই মশারির ভেতরে রাখতে হবে। সবাইকে একযোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে এডিস মশা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
×