ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তেজগাঁওয়ে নির্মাণ হবে ‘বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল টাওয়ার’

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২ আগস্ট ২০১৯

তেজগাঁওয়ে নির্মাণ হবে ‘বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল টাওয়ার’

ফিরোজ মান্না ॥ টেলিযোগাযোগের সব সেবা এক জায়গা থেকে পেতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নির্মাণ হবে ‘বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল টাওয়ার’। ১৭ বিঘা জমির ওপর এই টাওয়ার নির্মাণ হলে টেলিযোগাযোগের সব মাধ্যম এখান থেকেই পরিচালিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমূহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংযোগ এই টাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ করবে টেলিযোগাযোগ অধিদফতর। টেলিযোগাযোগ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটির ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল) তৈরি হয়েছে। ডিপিপি চূড়ান্ত হলে একনেকে তোলা হবে। মুজিব বর্ষ হিসেবে প্রকল্পটির কাজ এ বছরেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে বিটিসিএল’র ১৭ বিঘা জায়গা রয়েছে। এই জায়গাটি বর্তমানে পরিত্যক্ত পড়ে আছে। এখানে এখন বিটিসিএল তার ভা-ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে জায়গাটি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশে তালিবাবাদ ও বেতবুনিয়া দু’টি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। ওই সময় এই জায়গাটি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল একটি ন্যাশনাল টাওয়ার নির্মাণের জন্য। কিন্ত তিনি তা করে যেতে পারেননি। এবার মুজিববর্ষ হিসেবে টাওয়ারটি নির্মাণ করার জন্য ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ন্যাশনাল টাওয়ার নির্মাণের জন্য একটি ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে। তবে এটাই কোন চূড়ান্তু কিছু নয়। আরও কিছু বিষয় যুক্ত করেই ডিপিপি চূড়ান্ত করা হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করে বিষয়টি একনেক বৈঠকে পাঠানো হবে। একনেক চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু করা হবে। টেলিযোগাযোগ অধিদফতর জানিয়েছে, টাওয়ারটি নির্মাণ হলে টেলিযোগাযোগের সব দফতরের সেবা একটি ছাতার নিচ থেকেই হবে। সরকারী বেসরকারী সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হবে এই টাওয়ারের সঙ্গে। সবচেয়ে বড় বিষয় হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন গাজীপুরে হওয়ার কারণে বেসরকারী টেলিভিশনগুলো ফ্রিকুয়েন্সি সুবিধা পেতে কারিগরি জটিলতা তৈরি হয়েছে। টাওয়ারটি নির্মাণ হলে তখন আর কোন জটিলতা থাকবে না। তখন দেশের সব টেলিভিশন ফ্রিকুয়েন্সি সহজেই পাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞান, পরমাণু প্রযুক্তি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্য ক্ষেত্র, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যাবে। যা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গাজীপুর ও বেতবুনিয়াতে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের (স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন) করা হয়েছে। এই গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নামকরণ করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র গাজীপুর এবং সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া।
×