ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার থেকে সাগরপথে আসছে পশু ॥ টার্গেট ঈদ-উল-আজহা

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২ আগস্ট ২০১৯

মিয়ানমার থেকে সাগরপথে আসছে পশু ॥ টার্গেট ঈদ-উল-আজহা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর কোরবানির ঈদ তথা ঈদ উল আজহা সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে সাগরপথে গবাদিপশু আসা শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ১৬ ট্রলারে করে মোট ২ হাজার ১২৯ গবাদিপশু আমদানি হয়ে এসেছে টেকনাফে। জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ ক্যাডল করিডরটি শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন একটি পয়েন্ট। মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গবাদিপশু আসা রোধ করতে ২০০৩ সালের ২৫ মে শাহপরীরদ্বীপে বিজিবির চৌকিসংলগ্ন এলাকায় এই ক্যাডল করিডরটি চালু করা হয়। নিয়ম রয়েছে, আমদানি করা গবাদিপশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে গবাদিপশুগুলোর জন্য করিডর থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারও ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। শাহপরীরদ্বীপ ক্যাডল করিডরসহ গবাদিপশুর আড়তের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রায় ২০ দিন গবাদিপশু আমদানি বন্ধ ছিল। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির শিকার হন পশু ব্যবসায়ীরা। বৈরী আবহাওয়া কিছুটা কেটে যাওয়ার পর ফের গবাদিপশু আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। বর্তমানে দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। চাহিদা অনুপাতে দাম ওঠানামা করতে পারে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর সঙ্কট হবে না। টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে করিডরে ৯ ট্রলারে এক হাজার ২৪৪ গবাদিপশু এসেছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর আগের দিন এসেছে ৮৮৫ গবাদিপশু। এ দুই দিনে মিয়ানমার থেকে মোট ২ হাজার ১২৯ গবাদিপশু আসে। জুলাই মাসে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭০ গরু এবং ২ হাজার ৪৯৬ মহিষ। মিয়ানমার থেকে সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় ক্যাডল করিডরের মাধ্যমে গবাদিপশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি টেকনাফ পৌর মেয়র প্যানেল-২ আবদুল্লাহ মনির বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও মিয়ানমার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কোরবানির ঈদে রেকর্ডসংখ্যক পশু আমদানি হবে। আর আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পশুর হাটের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বাড়বে। গবাদিপশু আমদানি এবং কেনাবেচায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পশু ব্যবসায়ীরা। তবে টেকনাফ থেকে শাহপরীরদ্বীপে যাতায়াতে সমস্যা আছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে করিডর সংলগ্ন এলাকায় ব্যাংক এবং শুল্ক স্টেশনের অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা গেলে গবাদিপশু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা হতো। টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করে এই করিডর রাজস্ব আহরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। সোমবার ২৯ জুলাই থেকে ফের পশু আসা শুরু হয়েছে।
×