স্টাফ রিপোর্টার ॥ শমী কায়সারের ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালবাসা’সহ অন্যান্য পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান কেন অবৈধ ও বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, নীতিমালা অনুযায়ী ওই অনুদানের নতুন তালিকা করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনকারীগণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ১৬ জুলাই ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চলচ্চিত্রে প্রদত্ত সরকারি অনুদান স্থগিত ও পুনঃ নীরিক্ষণের জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন চার নির্মাতা। নির্মাতারা হলেন-এ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের জন্য আবেদনকারী চলচ্চিত্র গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের জন্য আবেদনকারী চলচ্চিত্র নির্মাতা অদ্রি হৃদয়েশ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সুপিন বর্মন এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটে তারা অনুদানের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছেন। রিটে অনুদান নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৩টি প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে মোট ১৪টি চলচ্চিত্রের অনুদানের ঘোষণা স্থগিত ও জমাকৃত সকল চলচ্চিত্র নির্মাণ প্যাকেজ প্রস্তাব পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল চলতি অর্থ বছরে চলচ্চিত্রের জন্য সরকারি অনুদান দেয়ার প্রক্রিয়ায় কিছু গড়মিল হয়েছে বলে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন চূড়ান্ত অনুদান কমিটির চার সদস্য- মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম ও ড. মতিন রহমান।
যদিও পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে তারা পুনরায় যোগ দেন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও সাধারণ শাখায় ছয়টি চলচ্চিত্রকে অনুদান প্রদান করা হয়। শিশুতোষ শাখায় অনুদান পেয়েছে আবু রায়হান মোঃ জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং পুরবী মতিনের ‘খেলাঘর’। সাধারণ শাখায় কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছাড়াও অনুদান পেয়েছে মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের প্রযোজনা ও হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের প্রযোজনায় হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ এবং শমী কায়সারের প্রযোজনায় ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালবাসা’।