ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় ভাইপোকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১ আগস্ট ২০১৯

সাতক্ষীরায় ভাইপোকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরায় ভাইপো আলফাজ হোসেন গাজীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচারা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলফাজ হোসেন গাজী কলারোয়া উপজেলার দক্ষিণ সোনাবড়িয়া গ্রামের শাহাদাত গাজীর ছেলে ও পেশায় ট্রলিচালক। নিহতের বড়ভাই আলতাফ হোসেন গাজী জানান, ছয় বছর ধরে তার চাচাদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। এ সময় তার আপন চাচা সলেমান গাজী, চাচাত চাচা ইসমাইল, গণি ও চাচাত ভাই নাজমুল সংঘবদ্ধভাবে বাড়ির মধ্যে এসে আলফাজকে উপর্যুপরি কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলফাজকে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়ায় যুবক স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের পালশা এলাকায় ইমন হোসেন (২০) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। সে একটি ময়দার কারখানায় চাকরি করত। শহরের জামিল নগর এলাকায় সে থাকত। বন্ধুর মাকে অপমান করায় বন্ধুর সঙ্গে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে সে খুন হয়। পুলিশ জানায়, বগুড়া সদরের ফাঁপোর এলাকার মৃত রানা মিয়ার ছেলে ইমনের বন্ধু সদরের পালশা জোড়গাছা এলাকার বাসিন্দা। ছালাম দোকান কর্মচারী। পরকীয়া সম্পর্কে ভূমিকা রাখার অভিযোগে ওই এলাকার খোকন ও তার লোকজন মঙ্গলবার ছালামের বাবা ও মাকে লাঞ্ছিতসহ মারপিট করে। ঘটনাটি জানতে পেরে ছালাম তার বন্ধু ইমনসহ ৩ জন মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে খোকন ও তার ভাই মনিরের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবাদ জানায়। এ সময় আকস্মিকভাবে প্রতিপক্ষ ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এবং ইমনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। আহত ইমনকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে খোকন তার ভাই মনিরসহ পরিবারের লোকজন পলাতক। রংপুরে সাবেক প্রধান শিক্ষক নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, রংপুরে আবু শাহাদত মোঃ দুলাল (৭৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে নগরীর মাহিগঞ্জ শরেয়ারতল এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুলাল মহিন্দ্রা মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মহিন্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান প্রধান জানান, দুলাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির অদূরে একটি কবরস্থানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা রাঙ্গামাটি থেকে জানান, মানিকছড়ি চেকপোস্ট এলাকা থেকে আমজাদ হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। জানা যায়, নিহত আমজাদ হোসেন পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মোঃ শফির ছেলে। কেরানীগঞ্জে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসার একটি কক্ষ থেকে মনির হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে গলায় ফঁাঁস দেয়া অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মনির হোসেনকে মারধর করে হত্যার পর ‘ফাঁসির নাটক’ সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, আটিবাজার আরশিনগর এলাকার তাহসিনুল কোরান মাদ্রাসার একটি কক্ষে এক যুবক ফাঁস দিয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের লোকজনের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, নিহত যুবক মাদ্রাসার কেউ নন। মঙ্গলবার গভীর রাতে চুরি করতে গিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে না জানিয়ে তাকে মারধর করে এবং একটি কক্ষে আটক রাখে। এ সময় মাদ্রাসার ৩ ছাত্র তার সঙ্গে ছিল। সকালে ছাত্ররা ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলে মনির হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত মনির হোসেনের বাবা নাজিম উদ্দিন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন বাঁশহাটি এলাকায়। পরিবার নিয়ে তিনি মাদ্রাসার পাশে থাকেন। মনির হোসেন রংমিস্ত্রির কাজ করে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সে বাসায় ফিরে গোসল করে। এরপর খাওয়া দাওয়া করে তাদের সঙ্গে শুয়ে পড়ে। সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, মাদ্রাসার একটি ঘরে মনির ফাঁসিতে ঝুলছে। তিনি অভিযোগ করেন, চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার লোকজন মনিরকে মারধরে করে হত্যা করে। তারপর সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে নাটক সাজিয়েছে।
×