ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মতবিনিময়ে পরিবেশমন্ত্রী

বায়ুদূষণ শূন্যের কোঠায় আনতে আইন হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১ আগস্ট ২০১৯

বায়ুদূষণ শূন্যের কোঠায় আনতে আইন হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকার বায়ুদূষণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য নতুন করে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বুধবার বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিজিজেএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ করে ইটভাঁটি। দেশের মোট বায়ুদূষণের ৫৮ ভাগই হয় ইটখোলা থেকে। ইতোমধ্যে দেশের ৬৫ ভাগ ইটভাঁটিকে দূষণমুক্ত করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে শতভাগ ইটখোলা বায়ুদূষণ মুক্ত হবে। তিনি বলেন, দূষণ রোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইটখোলাগুলোকে মোট পোড়া ইট তৈরির ২০ ভাগ ব্লক ইট তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বায়ুদূষণ রোধে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। বায়ুর মান নির্ণয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৬টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বায়ুর মান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী জানান, বায়ুদূষণ রোধে কোন আইন নেই। বর্তমানে পরিবেশ আইন দিয়ে বায়ুদূষণ রোধ করা হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি পাস হলে বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পলিথিন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নিষিদ্ধ সত্ত্বেও এখনও পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার পলিথিন বন্ধে কাজ করছে। তবে এর উৎপাদন বন্ধে সব কারখানা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে, যেসব পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, সেগুলো উৎপাদন করা যাবে বলে তিনি জানান। এ সময় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে গত ছয় মাসে পরিবেশ অধিদফতর ১২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২৬ টন পলিথিন জব্দ ও ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন, শপিং ব্যাগ বন্ধে সারাদেশে ৮টি টাস্কফোর্স কাজ করছে। বুধবার সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা’ বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। পলিথিন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, সব পলিথিন কারখানা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা পলিথিন নিষিদ্ধ করেছি। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহারের সুযোগ আছে। সব পলিথিনই তো সমস্যা তৈরি করে না। সরকারের নীতিমালার আওতায় যেসব পলিথিন নিষিদ্ধ, সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ করে দেব। যেগুলো তৈরির আইন আছে, সেগুলো তৈরি করতে পারবে।
×