ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এডিস মশা নির্মূলে ওষুধ ও জনবল দ্বিগুণ করা হয়েছে ॥ আতিক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১ আগস্ট ২০১৯

এডিস মশা নির্মূলে ওষুধ ও জনবল দ্বিগুণ করা হয়েছে ॥ আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এডিস মশা মারতে ওষুধের পরিমাণ ও জনবল আগের চেয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আর পিঠে মেশিন ঝুলিয়ে নয় এবার মোটরবাইকে ওষুধ ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কম সময়ে ও অধিক স্থানে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র। অপরদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কি না সেই পরীক্ষা, আক্রান্তদের ওষুধ ও চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা না করতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র। বুধবার গুলশান-২ সার্কেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের আয়োজনে পথসভায় গুলশান, বারিধারা, বনানী সোসাইটি, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ও থানা আওয়ামী লীগসহ সহ¯্রাধিক স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপের ফলে হাসপাতালে ভিড়ের পাশাপাশি বেড়েছে ওষুধের চাহিদা। এই ব্যাপক চাহিদার সুযোগে ব্যবসা না করে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করুন। তিনি বলেন, আশা করব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ওষুধ কোম্পানি ডেঙ্গু নিয়ে কোন ব্যবসা করবেন না। আমাদের একসঙ্গে এই ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে হবে। মানবিক কারণে আসুন আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে যেন একসঙ্গে কাজ করি। মেয়র বলেন, অনুরোধ করব সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার। ঘর থেকে বের হয়ে সবাইকে মাঠে নেমে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। আজ যে বাচ্চারা আসছে সে বাচ্চারা তাদের পরিবারকে বলবে যে আমরা যেন আমাদের ঘরের আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অনুরোধ করব আপনারা সবাই আপনাদের বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখবেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ডিএনসিসির ৪৭ স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে পাঁচটি মাতৃসদন রয়েছে। এই ৫২ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিন্তু আমরা কিট দিয়ে দিয়েছি। বিনামূল্যে এসব কেন্দ্র থেকে আপনারা ডেঙ্গু টেস্ট করাতে পারবেন। প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব আপনারা রোগীদের মশারির মধ্যে রাখুন। আমি ইতোমধ্যে চৌদ্দটি হাসপাতলে মশারি পাঠিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেডিক্যাল, শিশু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে মশারি পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনাদের যদি আরও মশারি লাগে নেন, কিন্তু আপনাদেরও নৈতিক দায়িত্ব আছে রোগীদের মশারির ভেতরে রাখুন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সকালে মশা নিধনের ওষুধ লার্ভাসাইড ও বিকেলে এ্যাবরেলটিসাইড ওষুধ স্প্রের নির্দেশ দিয়েছি। কাজ শুরু হয়ে গেছে। সকালের ওষুধ দিতে পাঁচজনের জায়গায় ১০ জন কাজ করবে। বিকেলেও যেটা স্প্রে করা হয় ওদেরও ডাবল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেশিনের সঙ্গে মোটরসাইকেল যুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। একটি মোটরসাইকেল ইতোমধ্যে আনাও হয়েছে। আমি সকল জনপ্রতিনিধিকে অনুরোধ করব একসঙ্গে রাস্তায় নেমে গণসচেতনতা তৈরি করুন। ঘনবসতি এলাকায়, বিশেষ করে বস্তি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদের সবাই যেন গণসচেতনতামূলক ক্যাম্পেন পরিচালনা করে- সেই চেষ্টা চালান।
×