ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১ আগস্ট ২০১৯

অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিলনায়তন ভর্তি শিশু। তাদের সামনের সারিতে বসা প্রত্যেকেই এই শিশুদের নিয়ে লিখে চলেছেন বহুদিন ধরে। সামনের সারিতে বসা মানুষগুলোর কর্মের স্বীকৃতি গ্রহণের অনুষ্ঠানে পেছনে বসা শিশুরা মুহুর্মুহু করতালিতে অভিবাদন জানালেন। এমনই আবহের মধ্য দিয়ে নাচ, গান আর কথামালায় ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৪২৪’ প্রদান করা হয় বুধবার বিকেলে। সব মিলিয়ে সাত বিভাগে ১০ শিশু সাহিত্যিক, প্রচ্ছদ শিল্পীকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় এ আয়োজনে। একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাম্স উল ইসলাম ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির উপ-পরিচালক মোঃ মনির হোসেন। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সাহিত্য নির্মাণ ঐশী বিষয় হলেও, চেষ্টা করলে সবাই কিছু না কিছু সাহিত্য রচনা করতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজন সুযোগ, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, প্রতিটি শিশুই এখন বিদ্যালয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময়ে শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হারও কমেছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সবার আগে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। নতুন এই প্রজন্মই আগামীদিনের আলোকিত বাংলাদেশের হাল ধরবে। পুরস্কার কোন লেখকের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য হতে পারে না। এটা হতে পারে লেখকের অনুপ্রেরণার উৎস। এ বছর কবিতা ও ছড়াগানে যৌথভাবে পুরস্কৃত করা হয় আহমেদ সাব্বির ও সোহেল মল্লিককে। নিলয় নন্দী (গল্প উপন্যাস রূপকথা), মনি হায়দার ও শিবু কান্তি দাস যৌথভাবে (জীবনী প্রবন্ধ), মিন্টু হোসেন (স্বাস্থ্য বিজ্ঞান প্রযুক্তি), সামিন ইয়াসার (অনুবাদ, ভ্রমণ কাহিনী), নাটকে যৌথভাবে মোস্তফা হোসেইন ও মোহাম্মদ মারুফুল এবং বই অলঙ্করণে মামুন হোসাইন। পুরস্কার বিতরণ শেষে শিশুদের পরিবেশনায় ছিল সঙ্গীত ও নৃত্যনাট্যানুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে ছিল ‘আমরা আনিব রাঙা প্রভাত’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য। পরে একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল দলীয় সঙ্গীত। সবশেষে ছিল নৃত্যনাট্য ‘ভালোবাসি বাংলাদেশ’। নাচে গানে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ॥ নাচে গানে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন হয় বুধবার সকালে। রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু। আলোচনায় অংশ নেন বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুথ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ শাহ আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে নৃত্য পরিবেশন করে সংগঠনের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা বেগম মুজিব। ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে, জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, অনেক কষ্ট, দুর্ভোগ তাঁকে পোহাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। তাঁর অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করা, আন্দোলন পরিচালনায় পরামর্শ দেয়াসহ প্রতিটি কাজে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই সংগঠনের জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সব শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
×