ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাপানের নারিতায় বিমানের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১ আগস্ট ২০১৯

জাপানের নারিতায় বিমানের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাপানের নারিতায় বিমানের ফ্লাইট চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুট চালু করার জোর প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ইউরোপের অন্তত তিনটি রুটে বিমানের ফ্লাইট অপারেট করার পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের পথে। এছাড়া যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অবশেষে চালু করা হয়েছে টিকেট কাটার অটোমেশন পদ্ধতি। বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এতে আরও বলা হয়- বিমান বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী আরও জোরদার করা হচ্ছে। প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরুন বিমানের সেবা ও আয় দুটোই বেড়েছে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, সচিব মহিবুল হক, বিমানের চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল ইনামুল বারী এসব তথ্য প্রকাশ করেন। তারা জানান, বিমানের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল গ্রাউন্ড সার্ভিস নিয়ে। এখন সেটা আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। আগমনী হলে প্রথম লাগেজ ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে ১৬ মিনিটের মধ্যে আর সর্বশেষ দেয়া হছে ৬০ মিনিটের মধ্যে। এটা আরও দ্রুত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্তমানে বিমান লাভজনক অবস্থায় ফিরেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমানের আয় হয়েছে ৫ হাজার ৭ শ’ ৯১ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৫ শ’ ১৯ কোটি টাকা। এ হিসেবে লাভ হয়েছে ২৭৩ কোটি টাকা। সিভিল ও এভিয়েশান ও পদ্মা ওয়েলের পাওনা ৫৩ কোাটি টাকা পরিশোধের পরই এ লাভ অর্জিত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন- বিমানের অন্যতম সমস্যা দুর্নীতি দমনে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এজন্য এমডিকেই সরিয়ে দেয়ার পর বাকিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। দুদক যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত খতিয়ে দেখছে তাদের বিরুদ্ধে বিমানও তদন্ত করছে। পাইলট নিয়োগসহ অন্য অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে মন্ত্রণালয়। সচিব মহিবুল হক বলেন, এক সময় জাপানে বিমানের ফ্লাইট চলাচল করত। সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে আবারও বিমান উদ্যোগ নিয়েছে ফ্লাইট চালু করার। এ রুটটা যাতে নির্ভরযোগ্য করা যায়, সেজন্য মার্কেট স্টাডির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব এগুলো বাস্তুবায়ন করা হবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে ফ্লাইট পরিষেবা বাড়ানোর জন্য একটা ড্রিমলাইনারকে ডেডিকেটেড করা হবে। এসব পরিকল্পনা সুন্দর ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কেনা হবে। বিমান চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল জানিয়েছেন- ইউরোপের কয়েকটি রুটে ফ্লাইট অপারেট করার পরিকল্পনা রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো চালু করার পর বিমানের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে।
×