ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বস্তির মানুষের জীবনমান আরও ভাল করতে হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩১ জুলাই ২০১৯

বস্তির মানুষের জীবনমান আরও ভাল করতে হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী শহরে চলে আসে। আমাদের উচিত তাদের উন্নততর জীবনযাপনে সহায়তা করা। এজন্য নগর কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত সম্পদ ও সক্ষমতা থাকা দরকার। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার সকালে নগরের দরিদ্রদের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্পের প্রথম জাতীয় পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ব্র্যাকের আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শহরে বস্তির সংখ্যা বাড়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে, নিরাপত্তার খোঁজে, গ্রামের মোড়লদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য এবং সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্য শহরে আসছে। শহরে পাড়াভিত্তিক বিচার নেই, পঞ্চায়েত নেই, মাতবর নেই-যেটা গ্রামে আছে। গ্রামে দরিদ্রতার শিকার মানুষদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এটা সবারই জানা। তবে এসব সমস্যা আমাদের সমাধান করা দরকার। এখন সেই সময় এসেছে। বস্তির উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, শহরে বস্তির মানুষের জীবনমান আরও ভাল করতে হবে। এদিকে সবারই একটু খেয়াল রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা যেন বস্তির উন্নয়নে এগিয়ে আসে। উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে, বাঁধের ওপরে মানুষ থাকছে, এই ছবি আমরা দেখেছি। এশীয় উন্নয় ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্ট অর্ঘ্য সিংহ রায় বলেন, এশিয়ার তিনটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশÑবাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের শহরাঞ্চলের দরিদ্রদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিবি এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এই কর্মশালায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑজাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা পুনর্বাস্তবায়ন, নগরের দরিদ্রদের স্বল্পব্যয়ে গৃহায়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বড় পরিকল্পনা গ্রহণ, নগরের দরিদ্রদের গৃহ নির্মাণে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা এবং এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী- বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।
×