ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এফআর টাওয়ারে আগুন মামলায় রাজউক কর্মকর্তা কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩১ জুলাই ২০১৯

এফআর টাওয়ারে আগুন মামলায় রাজউক কর্মকর্তা কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকা-ের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) মোঃ সদরুল আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। গত সোমবার বনানীর রাজউক কোয়ার্টারের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদক। এরপর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এদিন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলার এফআর টাওয়ারের ভবনের ১৯ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণে রাজউকের এস্টেট শাখার কোন ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। এমনকি ফি প্রদান ও নক্সা অনুমোদন করা হয়নি। অবৈধভবে নির্মিত ২০ থেকে ২২ তলা অফিস স্পেস বিক্রির জন্য ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ চুক্তি হয়। চুক্তিটি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে দাখিল করে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ওই ঋণের বিপরীতে একটি বন্ধকী দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ২০ থেকে ২২ তলার স্পেস বন্ধক প্রদান করা হয়। বন্ধক প্রদানের আগে রাজউক হতে অনুমতি গ্রহণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি সদরুল ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বেআইনীভাবে ওই অনুমতি প্রদান করেন। চলতি বছর ২৮ মার্চ ভবনটিতে অগ্নিকা-ের কারণে ২৫ জন মানুষ নিহত হয় এবং ৭৩ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত ও চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বর্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন বলে আবেদনে যুক্তি দেখানো হয়। মামলার শুনানিকালে আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট এম খায়রুজ্জামান জামিনের আবেদন করেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন। এর আগে এ মামলায় টাওয়ারে অবৈধভাবে নির্মিত ১৯ তলা হতে ২৩ তলার মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম (৬৬) আটকের দশদিন পর গত ১১ এপ্রিল এবং জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক গত ৬ মে এক মাস ৫ দিন পর জামিন পান। গত ৩০ মার্চ তারা গ্রেফতার হয়েছিলেন। আর গ্রেফতার না হওয়া রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল গত ২৩ জুন আত্মনমর্পণ করেই জামিন পান।
×