ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দিন বদলের গান গাইছে যারা

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৩০ জুলাই ২০১৯

দিন বদলের গান গাইছে যারা

ওরা কিছু দুঃসাহসী তরুণ, অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে বদলে দিতে চাইছে আমাদের পরিচিত পৃথিবী। সবারই বয়স তিরিশের নিচে, এ বয়সেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য ছুঁয়ে তারা এখন প্রস্তুত আরও বড় লড়াইয়ের জন্য। তাদের এই লড়াই কতটা বদলে দেবে আমাদের জীবন সে উত্তর থাকুক সময়ের হাতে, আপাতত আমরা জেনে নেই এমন কিছু তরুণের গল্প। ধারাবাহিকের অষ্টম পর্ব, লিখেছেনÑ পপি দেবী থাপা চার্লি জেভিস প্রতিষ্ঠাতা, ফ্রাঙ্ক সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যাতে সহজে ও দ্রুত আর্থিক সহযোগিতা পেতে পারে সেজন্য জেভিস ২০১৬ সালে মাত্র ১৫ জনকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন তার স্টার্ট- আপ ফ্রাঙ্ক। এখন পর্যন্ত তিনি তহবিল সংগ্রহ করেছেন ১৬ মিলিয়ন ডলার। আর পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গ্র্যাজুয়েট তার ফ্রাঙ্ক ব্যবহার করে ৩ লাখ ছাত্রছাত্রীর আর্থিক সাহায্যের আবেদনে ভূমিকা রেখেছেন। খুব বেশি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সাত বিলিয়ন ডলার লেনদেনে ভূমিকা রাখার দাবি করতে পারেন না। ২৭ বছর বয়সী জেভিস খুব সহজেই এমন দাবি করতে পারেন এবং ভবিষ্যতেও আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেই বিশ্বাস। জেভিসের ভাষায় গত ৪ বছরে আমরা প্রায় ৩ লাখ ছাত্রকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার ডলার পেতে ভূমিকা রেখেছি। মোট টাকার অঙ্কে যা ৭ বিলিয়নেরও বেশি। এই অর্থ কিন্তু কোন ঋণ নয়। অর্থ এসেছে কখনও ফেডারেল, রাষ্ট্রীয়, প্রাতিষ্ঠানিক অনুদান বা কলেজ ফান্ড থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছাত্রদের শিক্ষা ঋণ গ্রহণের পরিমাণ যখন ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে তখনি ফ্রাঙ্ক তাদের জন্য উপস্থিত হয়েছে সহজে বিভিন্ন রকম আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক সহযোগিতা লাভের আবেদন পদ্ধতিগুলো জটিল হওয়ায় ছাত্ররা তা এড়িয়ে যান। যদিও জেভিসের ভাষায় ৯০ শতাংশ ছাত্র এই সাহায্য পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। তিনি আরও বলেনÑ অর্ধেকের মতো ছাত্র জটিলতার ভয়ে অনুদানের আবেদন এড়িয়ে যান। ফ্রাঙ্ক তাদের এই আবেদনের বিষয়টিকে করেছে খুব সহজ। এর মাধ্যমে মাত্র ৪ মিনিটেই যে কেউ বিনা খরচে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়াও তার কোম্পানি ছাত্রদের সঠিক খাতটি বেছে নিতেও সাহায্য করে। জেভিস ভালই জানেন অনেক সময় ছাত্ররা কেবল ঋণের চাপে শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রেখে কাজে নেমে পরেন। আর তাই তিনি তাদের ঋণের ফাঁদ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান। নিজের কৃতিত্ব নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে আগ্রহী নন জেভিস। তার ভাষায়, শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা আপনি সব সময় নিজের সঙ্গে বহন করবেন। কোন মানুষের জন্য এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় উপহার। আমি যদি কাউকে কোন উপহার দিতে চাই সেটি হবে কেবল উচ্চ শিক্ষা। সত্যি বলতে কি আমেরিকান ড্রিম বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষা রাখতে পারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা। তার আর একটি গর্বের জায়গা হলো তার কোম্পানির মাধ্যমে যারা সাহায্য পাচ্ছেন তার ৬৮ শতাংশের বেশি নারী। ফ্রাঙ্ক সব সময় বলে থাকেন ঋণই কেবল তাদের একমাত্র বিকল্প নয়। সম্ভাব্য অনান্য সুযোগগুলোও তাদের গ্রহণ করা উচিত। আর ফ্রাঙ্ক নিয়ে তিনি তো আছেনই তাদের পাশে।
×