ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবন্ধকতা জয়ের গল্প

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৩০ জুলাই ২০১৯

প্রতিবন্ধকতা জয়ের গল্প

১৮ বছরের গণেশ বারারিয়া। ভর্তি হয়েছে ভারতের ভাবনগরের মেডিক্যাল কলেজে। সে তো অনেকেই ভর্তি হচ্ছে। এ আর তেমন বিশেষ কী। হ্যাঁ। বিষয়টি একটু বিশেষ। কারণ আর সবার চেয়ে গণেশ যে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথম দেখায় এক ঝলকে আপনার মনে হবে বছর তিনেকের একটি বাচ্চা ছেলে। তার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট আর ওজন ১৫ কেজি। ডাক্তারি পাস করে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডাক্তার হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলতে চায় কৃষক বাবার সন্তান গণেশ। গুজরাটের ভাবনগরের গোরখি গ্রামের বাসিন্দা গণেশের পরিবারে এই প্রথম কেউ কলেজে ভর্তি হলো। সাত বোনের আদরের ভাই গণেশ। বোনেরা শারীরিকভাবে সক্ষম হলেও কেউই স্কুলের গ-ি পার করতে পারেনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করা মেধাবী ছাত্র গণেশের পাশে প্রথম থেকেই দাঁড়ায় তার স্কুল ‘নীলকান্ত বিদ্যাপিঠ’। স্কুলের শিক্ষকরাই তাকে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখায়। জানা যায় সে নবম শ্রেণী থেকেই ডাক্তার হবার স্বপ্ন লালন করে আসছে। শরীরের ৭২ ভাগ অক্ষমতা নিয়ে গণেশ প্রথমে এমবিবিএস পড়ার অনুমতি পায়নি। ডাক্তারি পড়ার ধকল সে নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। হাইকোর্টও গণেশের আবেদন ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু সুপ্রীমকোর্ট থেকে ডাক্তারি পড়ার অনুমংতি জোগাড় করে এনে এবার পুরোদস্তুর ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখছে গণেশ। আর এই মামলা পরিচালনার জন্য প্রায় ৪ লাখ রুপী খরচ করেছে গণেশের স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা যায় সে ন্যাশনাল ইলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্টে (নিট) পরীক্ষায় পায় ২২৩ নম্বর। স্কুলের গবর্নিং বডির প্রধান দল্পত কাটারিয়া বলেন ‘গণেশ প্রচণ্ড প্রতিশ্রুতিশীল একজন ছাত্র’ ,‘আমরা শুধু তাকে বিনামূল্যে শিক্ষাই দেইনি বরঞ্চ তার পাশে থেকে তাকে সমর্থনও জুগিয়েছি। যাতে করে সে সমাজে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।’ ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
×