ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে মশক নিধনে ছয় পৌরসভায় নেই কোন কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩০ জুলাই ২০১৯

বরিশালে মশক নিধনে ছয় পৌরসভায় নেই কোন কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ এডিস মশার বংশ ধ্বংস করার লক্ষ্যে গত ২৫ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের সঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মশক নিধন এবং মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ কল্পে ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ’ কর্মসূচী পালন করা হলেও জেলার ছয়টি পৌরসভায় নেই কোন কার্যক্রম। সূত্রমতে, এক দফার দাবিতে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত ১৬ দিন থেকে কর্মবিরতির মাধ্যমে ঢাকায় অবস্থান করায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের কোন কর্মসূচী পালন করা হয়নি বরিশালের ছয়টি পৌরসভায়। জেলার প্রায় প্রতিটি পৌরসভায় নেই কোন পরিকল্পিত ড্রেনেজ কিংবা ময়লা ফেলার ব্যবস্থা। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্নস্থানে পানি জমে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে গোটা পৌর সদরসহ প্রতিটি ওয়ার্ড। মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহেও নোংরা পরিবেশ থেকে রক্ষা পায়নি পৌরবাসী। ফলে সচেতন পৌরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহে শুধু উদ্বোধনী দিনে (২৫ জুলাই) অধিকাংশ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা সদরে লোক দেখানোভাবে পরিচ্ছন্নতার ফটো শেসন করা হলেও জেলার দশটি উপজেলার কোথাও মশক নিধনে স্প্রে করার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চৌকস মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে প্রতিদিনই ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধনের জন্য স্প্রে করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, মশক নিধনের জন্য মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যাপক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত মশক নিধনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর জনসাধারণকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি নগর পরিষ্কার রাখার কাজও চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫ জন কর্মী প্রতিনিয়ত মশক নিধনে হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চার সদস্যর একটি আলাদা টিম সরকারী অফিস, বস্তি এলাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নগরীকে সার্বিক পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রায় সাড়ে চারশ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছেন।
×