ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ২০ কোম্পানির শেয়ার

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৯ জুলাই ২০১৯

 শেয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ  ২০ কোম্পানির শেয়ার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারের সব পরিস্থিতিতেই একটি চক্রকে দুর্বল কোম্পানি নিয়ে কারসাজি করতে দেখা যায়। যেসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া অতি ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কারসাজিকারীদের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে। ওই ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির তালিকার মধ্যে মুনাফার তুলনায় এক নম্বরে রয়েছে সমতা লেদার কমপ্লেক্স। ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত রয়েছে ২৯৪৭.৮৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ কোম্পানিটি থেকে ৩০ জুনের বাজার দরের বিনিয়োগ ফেরত পেতে সময় লাগবে ২৯৪৭.৮৫ বছর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত গুরুত্বপূর্ণ। এ হিসাব থেকে বোঝা যায় একটি কোম্পানির শেয়ার কতটা বিনিয়োগযোগ্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার দরকে মুনাফা দিয়ে ভাগ করে পিই নির্ণয় করা হয়। এ থেকে ধারণা নেয়া যায়, ওই কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করলে তা কত বছরে ফেরত পাওয়া যাবে। ডিএসইতে গত ৩০ জুন মুনাফার তুলনায় সবচেয়ে বেশি পিই’তে অবস্থান করছে সমতা লেদার কমপ্লেক্স। কোম্পানিটির পিই দাঁড়িয়েছে ২৯৪৭.৮৫। এরপরে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের পিই ৬১৪.১৯। আর ফাইন ফুড ৫৫৭.৭৯ পিই নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে- মুন্নু জুট স্টাফলার্সের পিই ৫৩১.২৮, জেমিনি সী ফুডের পিই ৪৬৬.৫৬, বঙ্গজের পিই ৩৭২.৭৫, সোনালি আঁশের পিই ৩০৫.৬৫, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের পিই ২৯৭.১৩, রেনউইক যঞ্জেশ্বরের পিই ২৮১.৯৩, আজিজ পাইপসের পিই ২৪৪.৫১, কে এ্যান্ড কিউ এর পিই ২৩৩.৪৫, লিবরা ইনফিউশনের পিই ২০৮.৯০, এমবি ফার্মার পিই ১৮৭.৫৮, বিডি অটোকারসের পিই ১৮০.১৬, এবি ব্যাংকের পিই ১৭৫.৫৪, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের পিই ১৫৬.৭৩, আল-হাজ টেক্সটাইলসের পিই ১৪২.৪৯, এ্যাপোলো ইস্পাতের পিই ১২৭.৪৬, মুন্নু সিরামিকসের পিই ১২৪.৮০ এবং ওয়াটা কেমিক্যালসের পিই রয়েছে ১১৪.৮০ পয়েন্টে।
×