ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেম্বারসহ তিনজন শ্রীঘরে

ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন দম্পতি

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২৯ জুলাই ২০১৯

 ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন দম্পতি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেছে এক মেম্বারসহ তিন নারী-পুরুষ। শহরের জেলগেট এলাকা থেকে আটক মেম্বার আলমগীরকে রবিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তে, গ্রাম্য সর্দারের সালিশ, থানা ও আদালতে মিথ্যা অভিযোগে বারবার হেরে যাচ্ছে দেখে স্থানীয় মৌলানা ফরিদুল আলমকে ফাঁসাতে জাল বুনতে থাকে মগনামা মূহুরীপাড়ার মৃত নাজির আহমদের পুত্র নুরুন্নবী নামে এক মামলাবাজ ব্যক্তি। ইউপি সদস্য আলমগীরের পরামর্শে আপন ভাগিনীকে ধর্ষণ ও ডাক্তারি সনদ নিয়ে একই গ্রামের মৃত কবির আহমদের পুত্র মৌলানা মোঃ ফরিদুল আলমকে আসামি করে মামলা দায়ের করে থানায়। মামলার বাদী সাজানো হয় ধর্ষকের স্ত্রী আমেনা বেগমকে। বাদী (ধর্ষিতার মামি) নিজেকে ওই কিশোরীর মা বলে মামলায় উল্লেখ করেছে। সদর মডেল থানার ওসি মামলা নথিভুক্ত করে তদন্তভার দেন এসআই আবুল কালামকে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দারোগা কালামের মনে সন্দেহ জাগে। একদিকে শিশু ধর্ষণ স্পর্শকাতর বিষয়, আবার ধর্ষণের সপক্ষে ডাক্তারি সার্টিফিকেট, অপরদিকে বাদী ও ভিকটিমের কথাবার্তায় সন্দেহ। এতে তদন্তকারী কর্মকর্তার মনে কি যেন অপূরণ থেকে যাচ্ছে। তারপরও সাহসী পুলিশ কক্সবাজার সদর থানার এসআই আবুল কালাম মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। ইতিপূর্বে তদন্তে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে অবহিত করেন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের। ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন ওই দারোগাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এদিকে সরেজমিন তদন্তে দারোগা আবুল কালামের বিচক্ষণতায় বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই আবুল কালাম জনকণ্ঠকে বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীর জন্ম নিবন্ধন ও স্কুল থেকে সংগৃহীত সার্টিফিকেট এবং প্রকৃত মা ও ভুয়া মা’র (বাদী) জাতীয় সনদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই কিশোরীর প্রকৃত মা হচ্ছেন লতিফা বেগম ও পিতা মৃত বজল আহমদ। মিথ্যা মামলার বাদী আমেনা বেগম ধর্ষক নুরুন্নবীর স্ত্রী ও ধর্ষিতা কিশোরীর মামি। তিনি আরও বলেন, ধর্ষিতা কিশোরী জানায় তাকে ধর্ষণ করেছে তার মামা নুরুন্নবী। ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করেছে কিশোরীর মামি আমেনা বেগম ও আলমগীর মেম্বার।
×