ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লামায় ১৮ দিন আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ বিচার দাবি

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২৮ জুলাই ২০১৯

 লামায় ১৮ দিন আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ বিচার দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২৭ জুলাই ॥ লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে অপহরণ করে টানা ১৮ দিন আটকে রেখে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুলাই জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর গার্লস স্কুলে যাওয়ার পথে একই এলাকার সাইফুল নামের এক বখাটে এই স্কুলছাত্রীকে কয়েকজনের সহায়তায় অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় তাকে টানা ১৮ দিন আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে এই বখাটে। সাইফুল আজিজনগরের ৪নং ওয়ার্ডের তেলুনিয়াপাড়ার জমির হোসেনের পুত্র। মেয়ের মা জোস্না আক্তার জানান, মেয়েকে অপহরণের পর অনেক খুঁজেছি, পরে স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দেয়, আমরা এর বিচার চায়। আরও জানা গেছে, পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এই স্কুলছাত্রীকে গত ২৫ জুলাই বিকেলে উপজেলার আজিজনগরের তেলুনিয়া পাড়ায় রেখে চলে যায় সাইফুল। এসময় তার স্বজনরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে গত ২৬ জুলাই বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালে তাকে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এই বিষয়ে ছাত্রীর পিতা নুর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে টানা ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে, আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। আমতলীতে স্কুলছাত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামের কলেজছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আবু জাফর নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে। জানা গেছে, উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামের কলেজছাত্রী এ বছর খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে পটুয়াখালী সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এক বছর ধরে ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের আবদুর রব গাজীর ছেলে আবু জাফর উত্ত্যক্ত করে আসছিল এমন অভিযোগ ছাত্রী ও তার পরিবারের। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা শালিস হয়। আবু জাফরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পরিবার ওই ছাত্রীকে এ বছর ৭ জুন অনত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পরেও জাফর ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত বুধবার ওই ছাত্রী তার বাবার বাড়িতে আসে। শুক্রবার রাতে বাবার ঘরের টিনের বেড়া ভেঙ্গে জাফর ঘরে প্রবেশ করে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে ঘরের লোকজন এসে আবু জাফরকে আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সকালে আবু জাফর ও ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে আবু জাফরের পরিবার দাবি করেন, ওই ছাত্রী ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে আবু জাফরকে আটকে রেখেছে। কলেজ ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর ধরে আমার মেয়েকে আবু জাফর উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা শালিস হয়েছে। ওর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমি আমার মেয়েকে অনত্র বিয়ে দিয়ে দেই। তারপরও জাফরের হাত থেকে আমার মেয়েকে রক্ষা করতে পারছি না। চরফ্যাশনে শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা চরফ্যাশন থেকে জানান, সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ভোলার চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ গ্রামের মৃত মতিয়ার দফাদারের ছেলে ফজলু দফাদারের (৬০) বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে শশীভূষণ থানায় মামলা করেছেন শিশুটির পিতা। শশীভূষণ থানা পুলিশ শনিবার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন এবং মামলার আসামি ফজলু দফাদারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
×