ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সার ও সেচ ব্যবস্থাপনায় কমবে গ্রীন হাউজ গ্যাস

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২৮ জুলাই ২০১৯

 সার ও সেচ  ব্যবস্থাপনায়  কমবে গ্রীন  হাউজ  গ্যাস

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বর্তমান সময়ের পরিবেশ ইস্যুতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উৎস থেকেই বাড়ছে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ। কৃষি সেক্টর এর বাইরে নয়। কৃষিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার, কীটনাশকের অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। যার ফলে বাড়ছে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, নদীভাঙ্গন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ। কৃষিতে সেচ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকর উপায়ে রাসায়নিক ব্যবহার করে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো সম্ভব। শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত ধান প্রধান ফসল চক্রে রাসায়নিক সার ও সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস বিষয়ে এক কর্মশালায় এই বক্তব্য দেন গবেষকরা। সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যাপক ড. মোঃ মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রীন হাউজ গ্যাসের প্রধান উপাদান হচ্ছে কার্বনডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড। গবাদিপশুর বিষ্ঠা থেকে প্রচুর পরিমাণে এ সকল গ্যাস পরিবেশে উন্মুক্ত হয়ে গ্রীন হাউজ গ্যাস হিসেবে কাজ করে। সেচের পানি ও মাটিতে অ্যামোনিয়া, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড নির্গমন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, কৃষি জমিতে গুঁটি ইউরিয়া ও ইউরিয়া ব্রিকুইট জমির গভীরে স্থাপন করলে গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কম হয়। এছাড়া গৃহস্থালির জৈববস্তুর ছাই ও প্রাকৃতিক কয়লা জমিতে ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো সম্ভব। কর্মশালায় প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বিশেষ অতিথি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×