ভোর হলো ও লিটল থিয়েটারের ‘আন্তঃস্কুল নাট্যোৎসব-২০১৯’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে চারদিনব্যাপী ‘আন্তঃস্কুল নাট্যোৎসব-২০১৯’ শুরু হয়েছে। ‘বিকশিত শিশু আলোকিত আগামী-সৃজনে উৎসবে মঞ্চ মোদের তরণী’ স্লোগানে ভোর হলো ও লিটল থিয়েটার আয়োজিত এই উৎসবে সহযোগিতা দিচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বগুড়া টিএমএসএস। শুক্রবার এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ। দৈনিক করতোয়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও লিটল থিয়েটারের উপদেষ্টা প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিটল থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন তৌফিক হাসান ময়না। আলোচনা করেন বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, নিশিন্দারা ফকিরউদ্দীন স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হায়দার আলী, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল হান্নান, বাঙময় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি দৌলতুজ্জামান, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, ইউনিক পাবলিক স্কুলের চেয়ারম্যান তনছেন আলী প্রমুখ। নাট্যোৎসবের প্রথমদিনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শেষে বেলুন উড়িয়ে চারদিনব্যাপী আন্তঃস্কুল নাট্য উৎসবের শুভ সূচনা করেন জেলা প্রশাসক। প্রধান অতিথি ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, শিশুদের সুন্দর ও সুস্থ মানসিকতায় বেড়ে উঠার জন্য সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য শুক্রবার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎসবের প্রথমদিনে দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথমে নিশিন্দারা ফকিরউদ্দীন স্কুল এ্যান্ড কলেজে পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ও গাজী আশা ও সুমন ইসলামের নির্দেশনায় নাটক ‘রাজা ও রাজদ্রোহী’। কাহালু রেড রোড কেজি স্কুল পরিবেশন করে দ্বীজ কানাই রচিত ও জহুরুল ইসলাম বাদশা নির্দেশিত নাটক ‘মহুয়া’। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিটল থিয়েটারের নাট্যকর্মী মন্দ্রিতা হাসান। গতকাল শনিবার বিকাল চারটা থেকে নাট্যপিপাসুদের জন্য ছিল চারটি নাটক। নাটকগুলো পরিবেশন করে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ।