ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির পশুর হাটে আসছে ‘শান্তরাজা’

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৭ জুলাই ২০১৯

কোরবানির পশুর হাটে আসছে ‘শান্তরাজা’

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ আর ক’দিন পরই ঈদ-উল-আযহা। জমে ওঠবে পশুর হাট। আর তাই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ‘শান্তরাজা’র মালিক দুলাল মিয়া। তাঁর দাবি, ফিজিয়ান জাতের এ গরুটি দেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরুগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় ৫০মণ ওজনের এ গরুটির ২৫ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন তিনি। জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের টেঙ্গা গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া দীর্ঘ তিনবছর যতœ-আত্তির পর শান্তরাজাকে হাটে তুলতে যাচ্ছেন। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের কারণেই তিনি এর নাম রেখেছেন ‘শান্তরাজা’। এটি লম্বায় প্রায় ৯ ফুট। উচ্চতা সাত ফুট। গায়ের রঙ সাদাকালো ছাপ। দাঁত ওঠেছে ৮টি। গরুটির প্রায় ৫০ মণ ওজন হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। দুলাল মিয়া জানান, একবছর বয়স পর্যন্ত শান্তরাজা শুধুমাত্র তার মা গাভীর দুধ খেয়েছে। একবছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে প্রতিমাসে গড়ে ২০-২৫ হাজার টাকার খাদ্য কিনে দিতে হচ্ছে তাকে। বর্তমানে শান্তরাজার খাবার মেন্যুতে রয়েছে: ছোলা, গমের ভূষি, ভুট্টা, কলা এবং আপেল, মাল্টা ও আঙ্গুর। প্রতিদিন তাকে কমপক্ষে দু’বার করে গোসল করানো হয়। গরমে আরাম দেয়া হয় একটি সিলিং ফ্যান ও একটি স্ট্যান্ড ফ্যানের বাতাস দিয়ে। এর পাশাপাশি নিয়মিত নানা জাতের ওষুধপত্রতো আছেই। দুলাল মিয়া আরও জানান, শান্তরাজাকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা হয়েছে। মোটাতাজাকরণের জন্য এর গায়ে কোনো ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। তবে বিরাট আকারের শান্তরাজাকে নিয়ে কিছুটা বিপাকেও আছেন দুলাল মিয়া। এর কারণ নেত্রকোনার স্থানীয় হাটগুলোতে এত বড় গরুর ক্রেতা নেই। তাই ঢাকার কোনো হাটে তোলার কথা ভাবছেন তিনি। এদিকে দূর-দূরান্তের কিছু ক্রেতা তার বাড়িতে এসেও দামাদামি করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাক্সিক্ষত দাম বলেননি কেউ। কাক্সিক্ষত দাম না পেলে গরুটি বেচবেন না বলে জানান তিনি।
×