ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দু’দলেরই প্রত্যাশা আজ জয়

প্রকাশিত: ১০:০৮, ২৬ জুলাই ২০১৯

  দু’দলেরই প্রত্যাশা  আজ  জয়

মিথুন আশরাফ ॥ মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, লিটন দাস নেই। চার ক্রিকেটার না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়ে পড়েছে টাইগাররা। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বেলা তিনটায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে দুর্বল দলই খেলতে নামবে। সেই তুলনায় শ্রীলঙ্কা অনেক শক্তিশালী দল। দলে সেরা ক্রিকেটাররাই আছেন। আবার পেসার লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ওয়ানডে ম্যাচ। লঙ্কানরা নিশ্চয়ই যে করেই হোক মালিঙ্গাকে জয় উপহার দিয়ে বিদায় দিতে চাইবেন। কিন্তু বাংলাদেশ দল যতই দুর্বল হয়ে পড়ুক, ছাড় কী দেবে? একটি সিরিজে খেলতে নামলে দল যতই দুর্বল হয়ে পড়ুক, আশা একটাই থাকে, জেতার। বাংলাদেশ দল, দলের ক্রিকেটাররা অন্য কোনদিক নিয়ে তাই ভাবতে রাজি নন। দলে কে আছেন, কে নেই তা নিয়ে চিন্তাই করছেন না। নিজ নিজ খেলা খেলে যেতে চান। সেরাটা দিতে চান। লঙ্কানদের হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে যেতে চান। ইনজুরির জন্য মাশরাফি ও সাইফউদ্দিন সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। সাকিব ও লিটন ছুটি নিয়ে সিরিজ খেলছেন না। এ চার গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার না থাকলেও তাই খুব প্রভাব পড়ছে না। সবাই যে বিশ্বকাপের পর নিজেদের মেলে ধরতে চান। পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে চান। বিশ্বকাপে আশানুরূপ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি তামিম ইকবাল। সৌম্য সরকারকে নিয়ে অনেক আশা থাকলেও হতাশ হতে হয়েছে। শুরুতে যদি ব্যাটিংয়ে ভাল কিছু করা যায় তাহলে শেষটাও ভাল হয়। তাই তামিম ও সৌম্যের কাছ থেকে এবার বিশেষ কিছুর আশা করা হচ্ছে। তামিমকে তো এবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। মাশরাফি না থাকায় তামিমের ওপর নেতৃত্বের দায়ভার পড়েছে। দলকে ভালভাবে পরিচালনার সঙ্গে আবার ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে হবে। তামিমের সঙ্গী হিসেবে সৌম্যকেও দেখাতে হবে ঝলক। তা না হলে এ সিরিজ পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে পারেন সৌম্য। সাকিব না থাকায় মোহাম্মদ মিঠুনের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নেমে প্রস্তুতি ম্যাচে ‘নার্ভাস নাইনটি’র ঘরে আউট হওয়া এ ব্যাটসম্যান আশাও দেখাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে যে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ, মিঠুনইতো সবচেয়ে উজ্জ্বল নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদতো সবসময়ই দলের প্রয়োজনে হাল ধরেন। বিশ্বকাপে মুশফিক ব্যাট হাতে জৌলুস ছড়ালেও মাহমুদুল্লাহ সেই তুলনায় ছিলেন নীরবই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে নিশ্চয়ই তিনি বড় কিছু করে দেখাবেন? লিটন কুমার দাস না থাকায় সাব্বির রহমান রুম্মনের একাদশে থাকার সুযোগ ধরা দিতে পারে। সুযোগটি নিশ্চয়ই সাব্বির কাজে লাগাবেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকততো ‘অটোমেটিক’ চয়েজ হয়ে গেছেন। নিচের দিকে তিনি দলের নির্ভরতাও। স্পিন অলরাউন্ডার কোটায় আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি বল হাতে ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। ব্যাট হাতে যদিও ততটা আলো ছড়াতে পারছেন না। তবে মিরাজকে নিয়েও আছে প্রত্যাশা। মিরাজ রান কম দিয়ে যখন ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ বাড়ান তখন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেনরা উইকেট তুলে নিতে পারেন। মুস্তাফিজ, রুবেল অথবা তাসকিন আহমেদের সঙ্গে এবার পেস আক্রমণে থাকতে পারেন শেষ মুহূর্তে দলে সুযোগ পাওয়া শফিউল ইসলামও। ডেথ বোলিংয়ে কার্যকর বলেই শফিউলকে নেয়া হয়েছে। এখন এই সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারেন শফিউল সেটিই দেখার অপেক্ষা। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে সৌম্যকে ধরা হচ্ছে। এর সঙ্গে যে কোন একজনকে বসিয়ে পেস অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজাও একাদশে ঢুকে যেতে পারেন। একাদশ শেষ পর্যন্ত যেমনই হোক বাংলাদেশ দল যে ব্যাটিংটা শক্তিশালী করার সঙ্গে পেস আক্রমণটাতেও ব্যালান্স রেখে নামবে তা তো আগাম বোঝাই যাচ্ছে।
×