ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় সংখ্যালঘু এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০১:৫২, ২৫ জুলাই ২০১৯

কলাপাড়ায় সংখ্যালঘু এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ ৫০ বছরের নির্বিঘ্নে দখলে থাকা চাষাবাদকৃত ২৫ একর ৪০ শতক রেকর্ডীয় জমিতে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোটবালিয়াতলী মৌজায় এ জমির অবস্থান। ওই জমিতে সাত/আটদিন আগে সাইনবোর্ড লটকানো হয়েছে। এমনকি বর্গাচাষী লিটন গাজীকে চাষাবাদ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ জমি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। পৌরশহরের চিঙ্গরিয়া এলাকার বাসীন্দা মনোজ কুমার দাস আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে মনোজ কুমার দাস জানান, ১৯৫৮ সাল থেকে অন্তত ১০টি দলিলের মাধ্যমে ২৫ একর ৪০ শতক জমি কিনে ৫৬ বছর চাষাবাদ করে আসছেন। ভোগদখলে রয়েছে। এবছরও কিছু জমিতে বোনা আউশের আবাদ করেছেন। কিন্তু পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে রুবেল সিকদার, মোঃ ফোরকান, নিজাম গাজী, হাবিব, রাখাইন অংচোলা, থয়মং মাতুব্বর, চানথান মাতুব্বর, অংচান মাতুব্বর, চোচাং মাতুব্বর বার্গচাষীকে জমি চাষাবাদ করতে বাধা দেয়। হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। এমনকি একটি সাইনবোর্ড লটকিয়ে দেয়া হয়। মনোজ কুমার দাস জানান, বর্তমানে তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হয়ে জমিজমা নিয়ে আছেন নিরাপত্তাহীন। জমিজমা রক্ষায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় জমির অপর মালিক বিভাস দাস, বিকাশ দাস, তাদের আইনজীবী নাথুরাম ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। মনোজ দাস পুর্বপুরুষদের জমিজমা রক্ষায় সকলের সহায়তা কামনা করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদার জানান, তার বাড়ির এলাকায় রাখাইনদের সঙ্গে হিন্দুদের এ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে তিনি দলিলসহ কাগজপত্রের আলোকে শুধু নিরপেক্ষ কথাবার্তা বলেছেন। এছাড়া এসংক্রান্ত তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সাইনবোর্ড দিয়েছে রাখাইনরা। ওয়ারিশ জটিলতা রয়েছে। অযথা তার ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের জন্য তাকে জড়ানো হয়েছে।
×