ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টরের মূল্যায়ন

প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে মডেল

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২৫ জুলাই ২০১৯

  প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে মডেল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘মডেল’ উল্লেখ করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্ব-অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন অনেক চ্যালেঞ্জিং, তারপরও বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বে মডেল। তাই আগামীতে যোগাযোগ খাতে এডিবি আরও সহায়তা বাড়াতে চায়। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দুদিনব্যাপী ‘গুড প্রজেক্ট ইমপ্লেমেন্টেশন ফোরাম’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এডিবির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণে দেশে বিভিন্ন ধরনের ৫৩টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন ৫৩ জন প্রকল্প পরিচালক (পিডি)। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি অনেকটাই নির্ভর করে তাদের দক্ষতা ও স্বচ্ছতার ওপর। আর এ কাজে যেসব পিডি ভাল দক্ষতা দেখাচ্ছেন, সম্মেলনে তাদের পুরস্কৃত করবে এডিবি। দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মনমোহন প্রকাশ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অথচ ১৯৭২ সালে ছিল মাত্র ৩১৮ ডলার। মনমোহন বলেন, বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে সফলতা পাচ্ছে। অর্থনীতির অনেক ক্ষেত্রে চালকের আসনেও রয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, সবজি রফতানিতে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে চতুর্থ আর আম উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে। গত দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার অর্ধেক কমেছে উল্লেখ করে এডিবির এই বাংলাদেশ পরিচালক বলেন, জলবায়ু মোকাবেলায় সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গড় আয়ু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে নারীদের গড় আয়ু অনেক বেশি। আগামীতে বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতে আরও সহায়তা বাড়াতে চায় এডিবি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে রেল যোগাযোগ। কেননা রেল ব্যয় সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে। অর্থ ছাড়ও বাড়ছে। এডিবি ইতোমধ্যেই বাড়তি সহায়তা দিচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের নদী ও খালগুলো দূষণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসব নিয়েও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের তুলনা করলে হবে না। এটি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এত মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করাটাই আগে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই।
×