ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোঃ সেলিম মিয়া

নৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৫ জুলাই ২০১৯

 নৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য

এবারের বন্যা অন্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। ব্যাপক এলাকাজুড়ে এবং কোথাও কোথাও দীর্ঘ স্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বন্যায় বিশেষ করে নদ-নদী ও নিচু এলাকার মানুষ বেশি বিপদে পড়েছে। আমরা যারা নিরাপদে আছি, যার যা আছে সাধ্যানুসারে তা দিয়ে বানভাসি মানুষের সহায়তা করা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আমরা অনেকেই জানি না পানিবন্দী মানুষগুলোর শ্রমজীবী অনেকেই অর্ধাহারে, অনাহারে কত দুঃখ কষ্টে নির্ঘুম দিনক্ষণ পার করছেন। রান্না করার ও শোয়ার সুযোগ নেই অনেকের। আমাদের আন্তরিক হতে হবে এবং সহানুভূতির সঙ্গে সহায়তার হাত বাড়িতে দিতে হবে। পানিবন্দী অনেক কাঁচা, খড়ের/ছনের ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যার পর তাদের ঘরবাড়ি মেরামত ও তৈরির সামগ্রী সরবরাহ করা আবশ্যক। অনেকেই গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি রাখার জায়গা পাচ্ছে না। সঙ্কট দেখা দিচ্ছে খাদ্য ও গো-খাদ্যের। অনেকের বাড়িতে রয়েছে অচল-অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও রোগী। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে চিকিৎসা, খাদ্য, গোখাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা। বন্যার পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিতে পারে পানিবাহিত রোগবালাই। গবাদি পশুর রোগ, খুরা রোগ, হাঁস-মুরগি ও ছাগল-ভেড়ার মরক। এজন্য চাই পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতা। বন্যা কবলিত কৃষকের ধান বীজতলা, ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যাত্তোর কৃষকদের সরবরাহ করতে হবে ধানবীজ, ধানের চারা, তরি-তরকারির বীজ ও রাসায়নিক সার। তবেই কেটে উঠতে পারবে তারা। বন্যার পরবর্তীতে নিচু এলাকায় এবং নদ-নদী বিধৌত এলাকায় জমির সীমানা আইল/মাল্লি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কারণে এবং নতুন নতুন জেগে ওঠা চর দখল নিয়ে যাতে জোর যার মুল্লুক তার, লাঠি যার মাটি তার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, খুনা-খুনী, মামলা-মোকদ্দমা না হয় এবং সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। সুন্দরগঞ্জ পৌরশহর, গাইবান্ধা থেকে
×