ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কর্নাটকে লোভের কাছে হারল গণতন্ত্র ॥ রাহুল

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২৫ জুলাই ২০১৯

 কর্নাটকে লোভের  কাছে হারল  গণতন্ত্র ॥ রাহুল

ভারতের কর্নাটক রাজ্যে কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার পতনের পর ওই রাজ্যে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। এদিকে কর্নাটকের সরকার পতনের ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার ভেতরে-বাইরে কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের নিশানায় ছিল প্রথম দিন থেকেই। ক্ষমতা কব্জা করার পথে এই সরকারকে বিপদ ও বাধা হিসেবে দেখছিল তারা। তাদের লোভই জিতে গেল আজ। পরাজয় হল গণতন্ত্র, সততা ও কর্নাটকের জনগণের। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, এটা কেন্দ্রীয় সরকার, কর্নাটকের রাজ্যপাল, মহারাষ্ট্রের সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল। তিনি বলেন, বিজেপি অনৈতিক, নির্লজ্জ ও খোলাখুলিভাবে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে প্রতিবাদ জানাবে। কর্নাটকে সরকার পতন প্রসঙ্গে কংগ্রেসের উত্তর প্রদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক টুইটার বার্তায় বলেন, বিজেপি সরকার একদিন ঠিকই বুঝতে পারবে টাকা দিয়ে সবকিছু কেনা যায় না। চিরদিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা না। বিজেপির সকল মিথ্যাচার একদিন প্রকাশ পাবে। মঙ্গলবার কর্নাটক বিধান সভায় আস্থা ভোটে কুমারস্বামীর জোট সরকার হেরে যায়। তাদের পক্ষে ৯৯ ভোট ও বিপক্ষে ১০৫ ভোট পড়ে। আস্থা ভোটের সময় বিএসপির বিধায়ক এন মহেশ উপস্থিত না থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন দলনেত্রী মায়াবতী। কংগ্রেস ও জনতা দলের ১৪ মাস বয়সী জোট সরকারের পতনের পর একে ‘কর্মের খেলা’ বলে মন্তব্য করেছে গেরুয়া শিবির। দুই সপ্তাহ সময়ের মধ্যে কংগ্রেস-জেডিএসের ১৬ বিধায়কের পদত্যাগ ও সরকারের ওপর থেকে দুই স্বতন্ত্র বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহারের পর আস্থা ভোটের দাবি ওঠে। শুক্রবার আস্থা ভোটের কথা থাকলেও কালক্ষেপণের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ করা হয়। কুমারস্বামী সরকারের পতনের পর রাজ্য বিজেপি প্রধান বিএস ইয়েদুরাপ্পা চতুর্থবারের মতো কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। এক টুইটে রাজ্য বিজেপি বলেছে, ‘কর্নাটকের জনগণের জয় হয়েছে। দুর্নীতি ও অপবিত্র জোট পর্বের ইতি ঘটেছে।
×