ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে ছুরিকাঘাতে শিক্ষিকা খুন

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ২৫ জুলাই ২০১৯

 নাটোরে ছুরিকাঘাতে শিক্ষিকা খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২৪ জুলাই ॥ নাটোরের গুরুদাসপুরে বাড়িতে ঢুকে মঞ্জুয়ারা খাতুন (৩৫) নামের এক স্কুলশিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুরে এই ঘটনা ঘটে। গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত মঞ্জুয়ারা খাতুন উপজেলার বৃকাশো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা খাতুন ও তার নানা তাদের নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারার বাড়ির ভেতর থেকে তার আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যায়। পরে ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষিকার মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। যশোরে গুলিতে যুবক স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, সদরের ভাতুড়িয়া গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইমরোজ হোসেন (৩২) নামে এক ঘের ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মেয়েলি ঘটনার জের ধরে বুধবার দুপুরে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ইমরোজ হত্যার প্রতিবাদে তার স্বজনরা হাসপাতাল ক্যাম্পাস ও শহরে বিক্ষোভ করেছে। নিহত ইমরোজ ভাতুড়িয়া গ্রামের নূর ইসলাম নুরুর ছেলে ও ঘের ব্যবসায়ী। তিনি যশোরের আলোচিত মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুরে ইমরোজ তার মাছের ঘেরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত সেখানে অবস্থানরত একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করলে এ নিয়ে ওই দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ইমরোজের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তার পায়ে ও পিঠে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ইমরোজকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার দেহে অস্ত্রোপচার চলাকালে অপারেশন থিয়েটারে ইমরোজের মৃত্যু হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান লর্ড জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে খুনীদের চিহ্নিত করা গেছে। চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের একটি ইটভাঁটির পার্শ্ববর্তী আমবাগান থেকে আবির হুসাইন (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের কাটা মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিহত মাদ্রাসা ছাত্র আবির হুসাইন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে। গত মাসে তাকে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। নিহত শিশুটির লাশের ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে বলাৎকারের নমুনা পাওয়া গেছে। কয়রাডাঙ্গা নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মোঃ আবু হানেফ জানান, মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের পর থেকে আবিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর এলাকাবাসীর সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার সবাই মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ইটভাঁটির পার্শ¦বর্তী আমবাগানে মাথাবিহীন একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। খবর পেয়ে লাশটি নিখোঁজ আবিরের বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নওগাঁয় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে মোস্তাকিম হোসেন (২১) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোস্তাকিম হোসেন মাতাসাগর গ্রামের আব্দুল আলিমের পুত্র। নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালে নিহতের বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দেয়। পরে সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
×