ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরের আবির্ভাব

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ২৪ জুলাই ২০১৯

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরের আবির্ভাব

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ রাজধানী ঢাকার পর এবার বরিশালেও দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর আতঙ্ক। গত এক সপ্তাহে নারী ও পুরুষসহ আট রোগী সনাক্ত হওয়ার খবরে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ সার্জনের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে। এদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষও ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র পক্ষ থেকে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মশা নিধনে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের সাথে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মশক নিধন এবং মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ কল্পে “মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ” কর্মসূচি পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে বরিশাল সদর উপজেলার তাজুল ইসলাম (২৩), নগরীর কলেজ এ্যাভিনিউ এলাকার মোয়াজ্জেম রুবেল (২৭), গৌরনদী উপজেলার ফোরকান (১৯), বানারীপাড়ার গিয়াস উদ্দিন (৩০), কাউনিয়া এলাকার মেজবাহ উদ্দিন (২২), আফনান আশরাফি (২০), বাকেরগঞ্জ উপজেলার আরিফুল ইসলাম (৪৮), পিরোজপুরের নাজিরপুরের অরুন সুতার (২৮) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জ্বর হলে ঘরে বসে ওষুধ সেবন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরাসরি স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত আটজন রোগীকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যারমধ্যে চারজন এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি চারজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, মশক নিধনের জন্য মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যাপক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত মশক নিধনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর জনসাধারণকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি নগর পরিস্কার রাখার কাজও চলমান রয়েছে। একইসাথে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫জন কর্মী মশক নিধনে হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি চার সদস্যর একটি আলাদা টিম সরকারী অফিস, বস্তি এলাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নগরীকে সার্বিক পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রায় সাড়ে চারশ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছে।
×