ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার কারণে গাইবান্ধায় ৩৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২৩ জুলাই ২০১৯

বন্যার কারণে গাইবান্ধায় ৩৬৯টি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ বন্যার কারণে গাইবান্ধায় সাত উপজেলার ৩৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পাঠদান বন্ধ থাকা এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৯টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে তিনটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চারটি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিকাংশই দুর্গম চরে অবস্থিত। এছাড়া বন্যা ও ভাঙনের মুখে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হুমকির মুখে রয়েছে আরও ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হেসেন বন্যার পানিতে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাঠ তলিয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ের মাঠ ও ক্লাস রুমে কোমর পানি উঠেছে। কিছু বিদ্যালয়ের চারপাশে বন্যার পানি থৈ থৈ করছে। আবার দুর্গত এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে ৫ উপজেলার চলমান বন্যায় ২৮১টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার কারণে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে সদর ও ফুলছড়িতে তিনটি বিদ্যালয়। পানি কমলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হবে। তবে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য বন্ধের দিনসহ অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন জানান, বন্যায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ও অনেক প্রতিষ্ঠানে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ কারণে জেলার ৮৪টি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। ভাঙনের ফলে একটি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়েছে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০টি মাদ্রাসা। এছাড়া কয়েকটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোতে পাঠদান শুরু হবে। পাঠদান বন্ধ ও বিদ্যালয় বিলীনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
×