ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে নদী ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২৩ জুলাই ২০১৯

মাদারীপুরে নদী ভাঙ্গনে ২ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ শিবচরে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও আড়িয়াল খাঁসহ জেলার মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চরাঞ্চলের ২০ স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর লেখা-পড়া মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসকল এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়ে গত এক সপ্তাহে শিবচরের বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাত ইউনিয়নে পদ্মা নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পদ্মার ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত চরাঞ্চলের ২ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১টি মাদ্রাসাসহ রাস্তা-ঘাট বেশ কয়েকটি কালভার্ট বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনেরর মুখে পড়েছে ১০ স্কুল ভবন, ২ স্বাস্থ্য কেন্দ্র-কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাটবাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি। ভাঙ্গন ঝুঁকি ও পানি বন্দীতে নিমজ্জিত হওয়ায় চরাঞ্চলের ১৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর লেখা-পড়া মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় বিভিন্ন স্কুল থেকে আসবাবপত্রসহ মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিতরা বসত বাড়ি গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছেন। চরের অনেকে পানিবন্দী অবস্থায় ঘরে বসবাস করছেন। চরাঞ্চলের পানি বন্দী মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যার পানি কমতে থাকলে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে । শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার বন্যা দূর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দু‘এক দিনের মধ্যে আরো এক হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও চরাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’
×