ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এনজিও কর্মী পরিচয়দানকারী ৫ জনকে গণধোলাই

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২২ জুলাই ২০১৯

রাজশাহীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এনজিও কর্মী পরিচয়দানকারী ৫ জনকে গণধোলাই

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর চারঘাটে ‘ছেলেধরা’ গুজবে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এবার পাঁচ এনজিও কর্মী। সোমবার দুপুরে উপজেলার রাওথা এলাকা থেকে পুলিশ ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আটককৃতরা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামের একটি এনজিও কর্মী দাবি করেছেন বলে চারঘাট থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন। ওসি বলেন, চারঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাওথা এলাকায় অপরিচিত পাঁচজন ব্যক্তি সমিতির নাম করে সদস্য সংগ্রহ করছিল। এ সময় সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের সমিতির নাম জানতে চেয়ে কাগজপত্র ও পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তবে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ছেলেধরা সন্দেহ পাঁচজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার ঝাকরপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪২), একই এলাকার আখতারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন (৪০), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৮), ঢাকা দক্ষিনের লালবাগ থানার আব্দুল মজিদের ছেলে কাইয়ুম আলী (৩৯) ও একই এলাকার আবুল কালাম (৩৬)। ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আটককৃতরা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে একটি এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। রবিবার তারা রাওথা গ্রামে গিয়ে একটি এনজিওর কার্যালয় করার কথা বলে আব্দুল মজিদের বাড়ী ভাড়া নেয়। রাতে তারা সেখানেই ছিলেন। সোমবার তারা ওই এনজিওর নামে সদস্য সংগ্রহের কাজে বের হয়। এ সময় তারা এলাকাবাসীর রোষানালে পড়েন। চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, কোন এনজিও উপজেলায় কাজ করতে চাইলে তাদের পরিচয়সহ কাগজপত্র জমা দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতিপত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা এধরণের কোন অনুমোদন নেয়নি। এছাড়াও তারা যে এনজিওর কথা বলছে তার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
×