ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ১৩

প্রকাশিত: ১০:২২, ২২ জুলাই ২০১৯

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা,  আহত ১৩

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ছেলেধরা সন্দেহে কেরানীগঞ্জ ও সাভারে দুজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় গণপিটুনির শিকার ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ছেলেধরা গুজবে কান না দেয়া বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় মাইকিং করা হয়েছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্টাফ রিপোর্টারের। কেরানীগঞ্জ ॥ কেরানীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। গত বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া আদর্শ স্কুলের সামনে গণপিটুনির শিকার হন ওই ব্যক্তি। নিহত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স ৪৫ বছর। পরনে ছিল ডোরাকাটা লুঙ্গি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই আলাউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ছেলেধরা সন্দেহে কিছু লোক তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে অচেতন ও আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে জীবন সঙ্কটাপন্ন দেখা দেয়ায় ওই রাতে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সাভার ॥ সাভারে ছেলেধরা সন্দেহ এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ওই নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই এলাকার প্রায় ৮ শতাধিক গ্রামবাসীকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। সকালে সাভারের হেমায়েতপুরে তেঁতুলঝোড়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে অজ্ঞাত নিহত ওই ব্যক্তি এক শিশুকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী বিষয়টি লক্ষ্য করে ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে গণপিটুনি দেয়। পিটুনির ফলে ঘটনাস্থলেই সে গুরুতর জখম ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তেঁতুলঝোড়ার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় ওই নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা যায়। নিহত নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির আল-আমিন নগরে ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবক মোঃ সিরাজ। সে একজন বাকপ্রতিবন্ধী (বধির)। সিরাজ নিজের মেয়ের খোঁজ নিতে গিয়েই গণপিটুনির শিকার হয়ে মর্মান্তিভাবে নিহত হন। একই দিন পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় মানসিক প্রতিবন্ধী শারমিন বেগম ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হন। সিদ্ধিরগঞ্জের দুটি ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩-৪শ’ আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। গণপিটুনির গুজবে জড়িয়ে পিটিয়ে সিরাজ মিয়া নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেধরা গুজবে জড়িয়ে স্থানীয় লোকজন সিরাজ মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে। এদিকে নিহত সিরাজের লাশ বিকেলে সাইলো রোড এলাকার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। ফতুল্লা ॥ ফতুল্লার লাল খা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে রাসেল মিয়া (৩৮ ) এক যুবকে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় লোকজন। রবিবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ওই যুবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত যুবকের বাড়ি বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায়। সে রাজধানীর জুরাইন এলাকায় ভাড়া করে থাকে। ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রবিবার সকালে রাসেল নামের এক যুবক লাল খা এলাকার শাহজাহান গাজীর মেয়ে প্রিয়াকে (১১) ফুল দেখায়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার ৬ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে মান্দা থানা পুলিশ। রবিবার সকাল ৭টার দিকে মান্দা উপজেলার বুড়িদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে বুড়িদহ গ্রামের রঞ্জিতের পুকুরে একদল মৎস্যজীবী শ্রমিক মাছ ধরে। সকালে তারা কিছু মাছ বস্তায় করে বাজারে নিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসী ছেলেধরা গুজবে তাদের ধাওয়া করে আটক করে। এক পর্যায়ে জেলেরা গণপিটুনির শিকার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামবাসীর হাত থেকে জেলেদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধর করেছে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রবিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কান্দিলা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু মিয়া জানান, সে আসলে ছেলেধরা কিনা তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনি। টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি জানান, বর্তমানে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তদন্ত করে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। টাঙ্গাইল শহরে মাইকিং করা হবে। কাউকে সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে মারধর না করে পুলিশকে খবর দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গ্রামাঞ্চলেও ‘ছেলেধরা গুজব’ ছড়িয়ে পড়ছে। ছেলেধরা সন্দেহে গত দুই দিনে অন্তত ১০ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, এ ধরনের গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। তবে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাবনা ॥ পাবনার চাটমোহর উপজেলার বনগ্রাম বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে ছেলেধরা সন্দেহে রাসেল রানা (৩২) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আটক যুবক রাসেল ঈশ্বরদী উপজেলার আমবাগান এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম দীঘিপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ (৪) বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বসে খেলছিল। এ সময় রাসেল রানা নামের ওই যুবক শিশুটিকে ডেকে চুইংগাম দেয়ার চেষ্টা করে। পরে রাসেলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এখন ছেলেধরা গুজব গ্রামাঞ্চলে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। শহরে তেমন গুজবের ডালপালা না গজালেও প্রত্যান্ত গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বেশি। গফরগাঁও ॥ গফরগাঁওয়ে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার উপজেলার দীঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলায় পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। গৃহবধূর নাম নিলুফা ইয়াছমিন (২৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম কাজলের স্ত্রী। এ ঘটনায় গলাকাটা চক্রের কাজ বলে এলাকায় প্রচার হলেও এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। নিলুফা আক্তারের মেয়ে প্রীমা আক্তার বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মা নিলুফা রান্না ঘর থেকে বের হয়ে বসত ঘরে প্রবেশের সময় ২ জন লোক তার পেছন দিক থেকে এসে তাকে ঝাপটে ধরে। পরে গলার উল্টো দিকে জবাই করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে নিলুফার সঙ্গে দুর্বৃত্তদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নিলুফা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় নিলুফার পা বসত ঘরের টিনের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বেশ জোরে শব্দ হয়। শব্দ শুনেই গৃহবধূর শাশুড়ি ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, নিলুফা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পড়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় নিলুফাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার গলা ও ঘাড়ে ১৭টি সেলাই দেয়া হয়। নিলুফার ভাগনে মাজাহারুল হকের দাবি এটি ‘গলাকাটা’ লোকদেরই কাজ। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ ঘটনার স্থল রাতেই পরিদর্শন করেন। গফরগাঁও থানার ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে গলাকাটা লোক সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পরে পুলিশ আহত যুবককে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুরে গফরগাঁও পৌর শহরের শিলাশী রেলপার এলাকায়। গণপিটুনির শিকার যুবকের নাম আনোয়ারুল হক (২৮)। সে সাতক্ষীরা জেলার ফরিদাবাদ থানার মঞ্জুরুল হকের ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে গফরগাঁও পৌর এলাকার শিলাশী গ্রামে রেললাইন ধরে হাঁটছিল সাতক্ষীরার ফরিদাবাদ থানার মঞ্জুরুল হকের ছেলে আনোয়ারুল হক। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাকে কল্লা কাটা ভেবে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সিলেট ॥ ছেলেধরা সন্দেহের ওপরেই কোন ফৌজদারি অপরাধ না করতে মাইকিং হচ্ছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানা এলাকায়। ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এ মাইকিংয়ে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কোন গণপিটুনি বা কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধ না করে জাতীয় জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯তে কল করতে অথবা ফেঞ্চুগঞ্জ থানাকে অবহিত করতে বলা হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ছেলেধরা একটা গুজব। আর শুধুমাত্র গুজব রটনায় কোন ফৌজদারি অপরাধ গ্রহণযোগ্য নয়। সকল জনসাধারণের সচেতনতা কামনা করে তিনি জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থানা এলাকায় কোন সন্দেহভাজন কিছু দেখলে অফিসার ইনচার্জ ফেঞ্চুগঞ্জ অথবা থানার সরকারী মোবাইল নাম্বার ০১৭১৩৩৭৪৩৮৫-এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। পীরগঞ্জ ॥ পীরগঞ্জ উপজেলার ১৭৩টি গ্রাম ও পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ব্যাপকভাবে ছেলেধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি কমে গেছে। অনেক অভিভাবক খবরটি সত্য মনে করে ও শিশুর নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলে একা পাঠাচ্ছে না। রবিবার বিভিন্ন স্কুলে শিশুদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ বলেন, এটি গুজব। পীরগঞ্জে কোথাও ছেলে ধরা পাওয়া যায়নি। ২/৩ জন কে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিলেও তাদের থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের মস্তিষ্ক বিকৃতি ও মানসিক ভারসাম্য হীন বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। কতিপয় অসচেতন ব্যক্তি গুজব ছড়িয়ে অপপ্রচার করছেন বলে সচেতন মহল মনে করেন। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত পীরগঞ্জের কোথাও ছেলে ধরা ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.ডব্লিউ. এম রায়হান শাহ্ জানান, ছেলেধরার বিষয়টি সত্য নয়। তার পরেও প্রশাসন তৎপর রয়েছে। দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ছেলেধরা সন্দেহে মিরু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। রবিবার দুপুর ২টায় চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের নানিয়াটিকর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আটক মিরু মিয়া কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার আব্দুল হাই-এর ছেলে। মিরু মিয়া একটি পুরাতন চটের বস্তা নিয়ে নানিয়াটিকর গ্রামের ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় এলাকার লোকজন তাকে ছেলেধরা মনে করে গণপিটুনি দিতে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাবিয়া বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে চিরিরবন্দর থানার এসআই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
×