ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইজি মিজান ঘুষ দেয়ার মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট

প্রকাশিত: ১০:২১, ২২ জুলাই ২০১৯

  ডিআইজি মিজান ঘুষ দেয়ার মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট

কোর্ট রিপোর্টার ॥ কারাগারে আটক পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) মিজানুর রহমানকে দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদানের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। দুদক পরিচালক শেখ মোঃ ফানাফিল্লা ১৬ জুলাই এ আবেদন করেন। রবিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। পুলিশের এ কর্তাব্যক্তিকে শুনানিকালে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি ডিআইজি মিজান জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদক পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান সরকারী কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফল নিজের পক্ষে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে মামলার অপর আসামি এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করতে অবৈধ পন্থায় অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ/ উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে হস্তান্তর করে পরস্পর যোগসাজশে দন্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/ ১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(৩)(৩) ধারার অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয় মামলা নং-৪ দায়ের করে। মামলার আসামি ডিআইজি মিজান ঢাকা জেলা কার্যালয় মামলা নং-১ এ বর্তমানে জেলহাজতে থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো প্রয়োজন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল মামলা প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে মিজানের পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী বলেন, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন গ্রহণের এখতিয়ার নেই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৪ জুন এ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মুর্শেদ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেন। মামলায় মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়। মামলার পর আত্মগোপনে থাকা এ কর্মকর্তা গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। যার ওপর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী গত ২ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করার পর একই আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
×