ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বদরুন্নেছা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মানববন্ধন ও মিছিল

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২১ জুলাই ২০১৯

 বদরুন্নেছা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মানববন্ধন ও মিছিল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর বেগম বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী মনিজা আক্তার মিতুর আত্মহত্যার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিতুর পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নসহ অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে মানববন্ধন করে মিতুর সহপাঠী ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তারা। সেখানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ জুলাই ফের কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাদের দাবিগুলো হলো-মিতুর পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করে এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেয়া, মিতুর পরীক্ষার খাতা তার বিভাগের শিক্ষকদের দেখানো, এক মাসের মধ্যে সব পরীক্ষার ফল দেয়া, সকল বিভাগের ফল একসঙ্গে দেয়া, ত্রুটিপূর্ণ ফল প্রকাশ না করা, সাত কলেজের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা এবং পূর্বে ঢাবি প্রশাসনের দেয়া আশ্বাসগুলো বাস্তবায়ন করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফল প্রকাশে লম্বা সময় ব্যয় করা হচ্ছে, ভাল পরীক্ষা দিলেও উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর দেয়া হচ্ছে না, ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের ফেল করানো হচ্ছে। ঢাবি প্রশাসনের এমন আচরণের ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মনিজা আক্তার মিতু আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তারা। এর দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। মানববন্ধনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু মিতু নয়, সাত কলেজের প্রতিটা শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সাত কলেজ সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তারা। না হয় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন। গত ১৬ জুলাই আত্মহত্যা করেন ঢাবি অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী মিতু। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। আত্মহত্যার আগে মিতুর লেখা সুইসাইড নোটে তিন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হওয়াকে মেনে নিতে না পেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। ঢাবির প্রকাশিত ফলে তিনটি বিষয়ে ফেল করে মিতু। মিতুর পরিবার ও সহপাঠীরা জানায়, সে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও বিশ^বিদ্যালয়ের খামখেয়ালিভাবে খাতা মূল্যায়নই তার আত্মহত্যার কারণ।
×