ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফখরুলের অভিযোগ ভিত্তিহীন ॥ নানক

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২১ জুলাই ২০১৯

 ফখরুলের অভিযোগ ভিত্তিহীন ॥ নানক

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ২০ জুলাই ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা শুধু সমালোচনা করতে জানে, কাজ করতে জানে না। রংপুরে অনুষ্ঠিত মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী বছরে পালিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। যে নতুন নেতৃত্ব আসবেন, সে নতুন নেতৃত্বকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করার দায়িত্ব নিয়েই আসতে হবে। এই যুবলীগ যারা নতুন নেতৃত্বে আসবেন তাদের সকলকে সেই কঠিন দায়িত্ব নিয়ে আসতে হবে। যারা এই বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী পালন করবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই দায়িত্ব নিয়ে আসতে হবে। যুবলীগের নতুন নেতৃত্বকে সেই নেতৃত্বে আসতে হবে, এই নেতৃত্বই রংপুর সদর-৩ শূন্য আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়লাভের জন্য আপনাদেরকে কাজ করতে হবে। সেই ওয়াদা দিয়ে আপনাদেরকে আসতে হবে। প্রিয়া সাহা যে কথাটি বলেছে, তা শুনে সারাদেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় এটি তার বিকৃত মস্তিষ্কের কথা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ বলে উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে ফিরে এলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। প্রিয়া সাহা যে কথাটি বলেছেন সেটি আমরা সহজভাবে মেনে নিতে পারি না। এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ও মার্কিন দূতাবাস। তারা বলেছে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এজন্য তিনি মার্কিন দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন স্থান নেই। যারা দলের জন্য কাজ করবে তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভুল করলে চলবে না। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর রংপুরে অনুষ্ঠিত হলো মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল ১১টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এর আগে একাধিকবার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হয়নি। ফলে ছয় বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে নগর যুবলীগ। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রংপুর যুবলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের ত্যাগী পরীক্ষিত কর্মীরাই যুবলীগে পদ পদবি পাবেন। রংপুর মহানগর শাখা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন। এ সময় রংপুর মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক এবং প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে যুবলীগ কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যুবকদের মাধ্যমেই দেশ দ্রুত পরিবর্তন করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-লসহ জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীরা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাশার। এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডের ১৫ জন করে মোট ৪ শ’ ৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর আগে ২০১২ সালে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহ্বায়ক, ইসমাইল হোসেন সাজুকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুরাদ হোসেন, হারুন অর রশীদ, শ্রী হারাধন রায় হারা, সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটির অনুমোদন দেয় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
×