ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুদকের একার পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয় ॥ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২১ জুলাই ২০১৯

 দুদকের একার পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব  নয় ॥ চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ‘টাইম লাইন’ অনুসরণ করার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্যজনক হলেও তা যথাযথ অনুসরণ করা হচ্ছে না। তাই শুধু দুদক নয় তার পাশাপাশি সবার সমন্বিত উদ্যোগেই কেবল দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানিক মিয়া হলে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম, সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু উপস্থিত ছিলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে এটা স্বীকার করতে আমি বিব্রত নই। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে যেসব নথি উপস্থাপিত হয় তার অধিকাংশেই বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। পুরোপুরি সক্ষমতা থাকলে আমার পর্যায়ে যেসব নথি আসে তাতে কোন ত্রুটি থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, আমি যোগদান করেই বলেছিলাম অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইম লাইন অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য টাইম লাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। যদিও আমরা চেষ্টা করছি। তিনি বলেন যদি তদন্তেই ত্রুটি থাকে তাহলে বিজ্ঞ আইনজীবী কিংবা সম্মানিত বিচারকদের পক্ষে অপরাধীদের আইন আমলে আনা দুরুহ হয়ে পড়ে। তাই আমরা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যারা গ্রামে বাস করে তারাই দুর্নীতি, হয়রানি কিংবা অনিয়মের সবচেয়ে বড় শিকার। এসব দুর্নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিরাই সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দেশের প্রায় এই ৮০ শতাংশ মানুষ যারা দুর্নীতির কারণে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাদের কল্যাণেই চুনোপুঁটিদের আইন-আমলে আনতে হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখা হবে। তবে এ কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব-বোয়ালদের আইন-আমলে আনা হচ্ছে এবং আরও আনা হবে। তিনি বলেন অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চ পদে আসীন অনেক আমলার বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান, তদন্ত কিংবা প্রসিকিউশন করছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের এই অভিযাত্রায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, আমি সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই। আলোচনা হোক, সমালোচনা হোক তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ যেন প্রকাশিত হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
×