ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি বরং আরও বাড়ছে

উত্তরে বন্যার পানি নামছে, মধ্যাঞ্চলে পরিস্থিতি ভয়াবহ

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২০ জুলাই ২০১৯

 উত্তরে বন্যার পানি নামছে, মধ্যাঞ্চলে পরিস্থিতি ভয়াবহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উত্তরের বন্যার পানি নেমে আসার কারণে এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এছাড়া উজান থেকে বিহারের বন্যার পানি নেমে আসায় এবার পদ্মার পানি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এদিকে আজ থেকে উত্তরের জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসতে পারে। যমুনা নদীর পানি আজ থেকে কমার আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার কথা জানালেও এলাকার বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বরং আরও বাড়ছে। আজও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সঙ্কট। ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। নওগাঁয় আত্রাই ও ছোট যমুনার বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে জেলার ২ লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে- বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুতহীন অবস্থায় আটকে পড়েছে। ৬৬ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য ও পরিষ্কার পানির সঙ্কটের সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বাড়ার খবরও পাওয়া গেছে। বৃষ্টি কমলেও উজান থেকে নদীগুলোর উপচেপড়া প্রবাহে সামনের দিনগুলোতে বন্যার অবনতি ঘটাবে। বিস্তীর্ণ কৃষি অঞ্চলে বন্যায় খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যাতে খাদ্য সঙ্কটের হুমকিও তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিশু, প্রসূতি, গর্ভবতী মা ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। দেশে টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসার পানির কারণেই বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারি বৃষ্টি এখন কমে এলেও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে সামনের বন্যা পরিস্থিতির আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিশেষ করে উজানে ভারতের অসম এবং বিহার রাজ্যে ভয়বহ বন্যা দেখা দিয়েছে। অসমের বন্যার পানি যমুনা নদী দিয়ে নেমে এসে উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন সেই পানি নেমে আবার মধ্যাঞ্চলে বন্যার অবনতি হচ্ছে। ওদিকে বিহারের বন্যার পানি পদ্মা নদী হয়ে দেশে প্রবেশ করছে। ফলে পদ্মার পানি আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। এছাড়্ ানেপালেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নেপালে বন্যার পানির একটা অংশ দেশে প্রবেশ করায় বন্যার অবনতি হচ্ছে। জানা গেছে, নেপাল থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ভারতের বিহারের ১২টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বিহারের বন্যার এই পানি সবই পদ্মা নদী দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে ভারি বর্ষণের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়ে দুকূল উপচে অসমের বেশিরভাগ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। অসমের বন্যার পানি নেমে আসায় উত্তরের জনজীবন এখন পানির নিচে। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে আর ভারি বর্ষণের আশঙ্কা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিত। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, দেশের প্রধান প্রধান নদীসহ ১৩ নদীর পানি ২২ পয়েন্টে এখন বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা, গঙ্গা,পদ্মা ব্যতীত সমতলে প্রধান নদী সমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। আজ থেকে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করবে। তবে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। বগুড়া, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে তারা। মানিকগঞ্জ ॥ আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে যমুনা নদীর পানির ঢল মানিকগঞ্জের আরিচার যমুনা ও পাটুরিয়া এলাকার পদ্মা নদীতে ঢুকে পড়ায় শিবালয়, হরিরামপুর, দৌলতপুর নতুন করে এবং ঘিওর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে । খাল- বিল-পুকুর জোয়ারের পানিতে ভরে যাচ্ছে। পদ্মা-যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন। ফেরি পারাপারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। যে কারণে পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়ছে শত শত যাবাহন, বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক। পাটুরিয়া ঘাটে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের ঘাট পার হতে দুই / তিন দিন লেগে যাচ্ছে। ঘাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘাট অভিমুখে পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে রাখা হচ্ছে। ফরিদপুর ॥ দ্রুত গতিতে জেলার নিম্নাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার পানি। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রীরচর, নর্থচ্যানেল, আলীয়াবাদ, চরমাধবদিয়া ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। ফলে দুর্ভোগে পতিত হয়েছে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ। মিনিটে মিনিটে বাড়ছে পদ্মার পানি। পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বর্তমানে বিপদসীমার ৫৪ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়ালন্দ পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি আরও ২০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। সদর উপজেলার ডিক্রীরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং সেল থেকে জানা গেছে, বন্যার ফলে ফরিদপুর সদর, সদরপুর, ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন চারটি উপজেলার দুই হাজার ১৫৪টি পরিবারের ৮ হাজার ৮৪২ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুড়িগ্রাম ॥ নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সেই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ভোগ। ঘরে ফিরতে পারছে না দুর্গতরা। দশদিনে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। বানভাসিদের জন্য অপ্রতুল ত্রাণের কারণে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। বিশাল এলাকাজুড়ে বন্যা হওয়ায় জনপ্রতিনিধিরা পড়েছে চরম বিপাকে। শুক্রবার সকালে পানিতে পরে সীমা খাতুন নামে দেড় বছরের একটি শিশু মারা গেছে। সে উলিপুর পৌরসভার খাওনারদরগা গ্রামের ভাটিয়াপাড়ার সাদেক মিয়ার কন্যা। বন্যার ফলে ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ পরিবারের ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। বগুড়া ॥ বগুড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, যমুনার পানি কমা শুরু করলেও বাঙালীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বানের পানিতে থাকা বগুড়ার যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সঙ্কট রয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পরিবারের সোয়া লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নওগাঁ ॥ আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ভোরে রানীনগরে নান্দাইবাড়ী-মালঞ্চি নামকস্থানে ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে আরও ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৮শ’ পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। মালঞ্চি গ্রামের নওগাঁ-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কের ২টি কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এতে আত্রাই, রানীনগর, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ফসলিজমির প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে নান্দাইবাড়ী-মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বাড়িঘরসহ সবজি ক্ষেত। বন্যার পানিতে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৩টি গ্রামের মানুষ। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিচ্ছে। গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও নতুন করে কয়েকটি এলাকা পাবিত হয়েছে। সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় এখন গাইবান্ধার সাত উপজেলাই বন্যাকবলিত। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং ৩৯টি ইউনিয়নের ৩৬৩টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৫লাখ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। শেরপুর ॥ শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মেহেদী হাসান (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত কয়েকদিনের বন্যায় জেলায় ৩ শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু হলো। ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে তীব্র ¯্রােতের কারণে শুক্রবারও ফেরি চলাচল বিঘ্নিত ছিল। ১৬ ফেরির মধ্যে ৪টি ফেরি চলাচল করলেও মূলত ২টি ফেরিই দিনভর চলাচল করেছে। বাকি দুটি কখনও পদ্মা পারি দিতে পেরেছে আবার কখনও পারি দিতে না পারায় ঘাটে ফিরে এসেছে। ফলে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে ৭ শতাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। পটিয়া ॥ পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানিতে এবার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই খালের ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের রাজঘাটা ব্রিজের পর থেকে খালের ভাঙ্গনে কৃষকের কয়েক শ’ একর ফসলিজমি বিলীন হয়ে গেছে। হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা খালে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে খালের দুইপার ভাঙ্গনের কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। টাঙ্গাইল ॥ সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের টেপিবাড়ি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের মূল বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেপিবাড়ি এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামতে কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাসসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত ৬টি উপজেলায় ৩৪ ইউনিয়নের ১০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর এতে প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া এসব গ্রামের রাস্তা এবং ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে ৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর নদী ভাঙ্গনের ফলে ১ হাজার ৩০ জন পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
×