ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষা জুতা পায়ে পায়ে

প্রকাশিত: ১২:১২, ১৯ জুলাই ২০১৯

 বর্ষা জুতা পায়ে পায়ে

একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব আর রুচির পরিচয় জুতার ওপর অনেকখানি বর্তায়। তাই রোদ-বৃষ্টির এই সময় পায়ের ত্বকের সঙ্গে নজর রাখতে হয় জুতার ধরনে এবং স্টাইলে। বেশিরভাগ সময় ফরমাল জুতা পরে থাকাটা পায়ের জন্য ভাল নয়। তাই বলে সাধারণ মানের স্যান্ডেল পরে কাজে বেরিয়ে যাওয়াটাও ভাল দেখায় না। সেই ভাবনা থেকেই বাজারে এখন ছেয়ে গেছে ফ্যাশনেবল ট্রেন্ডি সামার স্লিপার ও কনভার্স। যারা ফ্যাশনপ্রিয় বা ফ্যাশন করতে ভালবাসেন তাদের কাছে এসব জুতার কদর পোশাকের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে গেছে এর ডিজাইনও। এই সিøপারগুলো পরতে যেমন আরামদায়ক তেমনি দেখতেও আধুনিক। কারণ এটি ছেলেদের ক্যাজুয়াল পোশাকে তো বটেই, মেয়েদের পোশাকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। স্লিপার শুধু পরলেই হবে না পাশাপাশি বাড়তি নজর দিতে হবে শরীরের অন্য পোশাকের দিকেও। অধিক সাজসজ্জা, সুন্দর দামী পোশাকআশাক সবকিছুই ম্লান হয়ে যেতে পারে যদি স্লিপারের সঙ্গে সামঞ্জস্য না হয়। এই ব্যাপারটা মেয়েদের বেলায় গুরুত্ব সহকারে দেখা জররি। ফ্যাশনের একটা রীতি আছে, সেটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এর ধারা পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজের মানিয়ে নেয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সচেতনতা আর ফ্যাশনের খোঁজখবর রাখলে সেগুলো থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। মূলত ফ্যাশনের পরিবর্তনের স্রোত বইয়ে চলার কারণে স্লিপার জুতায়ও যুক্ত হয়েছে নানা বর্ণ এবং ডিজাইনের মিশ্রণ। বেশিদিন আগের কথা নয়, মেয়েদের মধ্যে হাইহিল পরার প্রবণতাই বেশি লক্ষণীয় ছিল। এখন তাদের রুচিতে যোগ হয়েছে স্লিপার জুতার কদর। এই জুতার চাহিদা বাড়ার পেছনে যে শুধু সৌন্দর্য্যই প্রধান কারণ তা নয়। এটি পরে সহজেই হাঁটাচলা করা যায়। স্লিপার মানেই ফ্ল্যাট, আর ফ্ল্যাট মানেই আরাম আয়েশের সঙ্গে জীবনযাপন করা। এই জুতার একটা বড় সুবিধা হলো সব পোশাকের সঙ্গে এটা মোটামুটি মানিয়ে যায়। অনেকেই হাইহিল কিংবা মিডিয়াম হিল পরেন। কিন্তু হিল জুতাটা সাধারণত চুড়িদার পায়জামা আর শাড়ি ছাড়া বেশি মানায় না। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা ঝুঁকে পড়ছেন ফ্ল্যাট জুতার প্রতি। কারণ ফ্ল্যাট জুতা ক্যাজুয়াল ও ফরমাল ড্রেসের সঙ্গে বেশ মানায়। দেখতেও ভাল লাগে। প্রয়োজনের তাগিদে মেয়েরা এখন বাইরে বের হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি নানা কাজে প্রতিদিন ঘরের বাইরে যাচ্ছে। তাই একই সঙ্গে তাদেরকে চাহিদা এবং ফ্যাশন দুটোই পূরণ করতে হয়। এতে সহজেই বোঝা যায় চলাফেরাটা বেশি সহজ হয় ফ্ল্যাট জুতা যদি পায়ে থাকে। একটা সময় ছিল যখন বয়স্করাই শুধু ফ্ল্যাট জুতা ব্যবহার করতেন তখন না ছিল আধুনিক ডিজাইনের নানা চমক, না ছিল বিচিত্র রঙের ব্যবহার। কিন্তু এখন ফ্ল্যাট জুতা মানেই দু’ফিতের জুতা নয়। কোন কোন ফ্ল্যাট জুতা এখন ফিতা ছাড়াও হচ্ছে। ফ্ল্যাট জুতার ধরনও বদলে গেছে। আজকাল পাথর পুঁতি বিডস, কারচুপির পাশাপাশি অন্যান্য অলঙ্করণও এতে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও অনেক জুতা আছে, যাতে শুধুমাত্র একটি স্টোন বসানো আছে। হাল্কা রঙের জুতা কিনতে চাইলে সাদা বা অফ হোয়াইট হবে সেরা। এছাড়া গাঢ় খয়েরি, কফি, মেটে রঙেরও হতে পারে। এগুলো দৈনন্দিন জীবনের রঙ হতে পারে। আর পার্টিতে বা কোন অনুষ্ঠানের জন্য ফ্ল্যাট জুতার রঙ সোনালি, রূপালি হবে বাড়তি নজর কাড়ার মতো। তাই জুতা কেনার আগেই ভাবতে হবে যে জুতাটি নরম্যাল ব্যবহারের জন্য কিনছেন, নাকি বিশেষ কোন ফেস্টিভ্যাল মানে উৎসবের জন্য। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য চিকন ফিতার জুতাগুলো এড়িয়ে চলা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চিকন ফিতার জুতা তেমন একটা টেকসই হয় না। বিশেষ কোনো দিবসে এই ধরনের চিকন স্ট্যাম্পের জুতা বেছে নেয়াই ভাল। চামড়া, বার্মিজ আর স্পঞ্জ, মূলত এই তিন ধরনের উপাদানে পাওয়া যাচ্ছে আধুনিক স্লিপার। চামড়া বা রেকসিনের স্লিপারগুলো সবচেয়ে সুবিধাজনক। এটি পরে যে কোন জায়গায় যাওয়া যায়। ক্লাস, ছোটখাটো উৎসব বা ভ্রমণে সচরাচর ব্যবহারের জন্য বার্মিসের স্লিপার সবচেয়ে উপযোগী। এটি গরমে যেমন দেবে পায়ের আরাম, অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টির জন্যও স্বস্তির। ছবি : আরিফ আহমেদ
×